এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আজ দিল্লিতে হাই ভোল্টেজ বৈঠক! রাজ্যের ভার কার হাতে বাছতে নাজেহাল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব

আজ দিল্লিতে হাই ভোল্টেজ বৈঠক! রাজ্যের ভার কার হাতে বাছতে নাজেহাল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখলেও, তা পূরণ হয়নি। তবে নির্বাচনী প্রচারে যখন বিজেপি নেতারা বাংলার ক্ষমতা দখল করবেন বলে দাবি করেছিলেন, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হবে! এক্ষেত্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে তাদের নেতাদের মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে যাবে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের।

তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সেদিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। কিন্তু তৃণমূলের এই কথাই কি সত্যি হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমের ক্ষেত্রে? বস্তুত, এই রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি জোট ক্ষমতায় এসেছে‌। কিন্তু তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে রীতিমত দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছে পদ্মফুল শিবির। কোনোমতেই এই মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা মেটানো যাচ্ছে না।

তাই এই পরিস্থিতিতে রবিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর সেই বৈঠকেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে খবর। জানা গেছে, একদিকে সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং অন্যদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা, এই দুই নেতার মধ্যে কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে রীতিমত সমস্যা তৈরি হয়েছে। শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে দুই নেতাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। করা হয়েছিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। কিন্তু তারপরেও কোনো সমাধান হয়নি।

তাই এই পরিস্থিতিতে আজ রবিবার গুয়াহাটিতে বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে একটি বৈঠক হওয়ার কথা। আর ওই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। একাংশ বলছেন, সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার এখানে গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তিনি গত পাঁচ বছর ধরে এখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তবে অর্থমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কেননা কংগ্রেস থেকে আসা এই নেতার সাংগঠনিক ক্ষমতার জন্যই বিজেপি একাধিক আসনে জয়লাভ করেছে বলে দাবি করছেন তাই অনুগামীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এই পরিস্থিতিতে দুই নেতার মধ্যে কাকে সন্তুষ্ট রেখে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে বলছেন, বিজেপি সর্বভারতীয় দল বলে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলোকে সবসময় কটাক্ষ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমনকি বিজেপি নিজেদের শৃঙ্খলা পরায়ন দল বলেও সম্বোধিত করে। তবে এই যদি শৃঙ্খলাপরায়ন দলের অবস্থা হয়, তাহলে বিজেপি নেতারা যে শুধুমাত্র পদের জন্য লালায়িত, তা এক প্রকার স্পষ্ট বলেই দাবি করছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “রবিবার গুয়াহাটিতে পরিষদীয় দলের বৈঠক হতে পারে। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। তবে ক্ষমতা দখল করার পরেও মুখ্যমন্ত্রী কাকে করা হবে, তা নিয়ে দুই নেতার দড়ি টানাটানি অব্যাহত। যেভাবে পরিস্থিতি থমকে রয়েছে, তাতে রীতিমত হতবাক রাজনৈতিক মহল। কেন বিজেপির মতো শৃঙ্খলাপরায়ন দলে এই অবস্থা, কেন তড়িঘড়ি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী করার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ভারতীয় জনতা পার্টি?

অনেকে বলছেন, বিজেপি এখন শ্যাম রাখবে, নাকি কুল রাখবে, সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠক অসমের ভবিষ্যত নির্ধারনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সকলের। সব মিলিয়ে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে আজকের বৈঠক থেকে কোনো রফাসূত্র বের করতে সক্ষম হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!