অযোধ্যায় ‘মিশন কমপ্লিট’! এবার হবে মথুরা ‘পুনরুদ্ধার’? নতুন বড়সড় পদক্ষেপে দেশজুড়ে শোরগোল! জাতীয় September 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নব্বইয়ের দশকে করসেবকদের বলতে শোনা যেত, ” বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়।” এরপর কেটে গেছে দীর্ঘসময়। উগ্র হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ও অনেকটা শান্ত হয়ে গেছে। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনাও পূর্বে তুলনায় অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রাম মন্দির নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় উত্তেজনার পারদ উঠছে। এই আবহে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান উদ্ধার করতে মথুরা আদালতে এক বিশেষ মামলা দায়ের করলেন জনৈক ব্যক্তি। এর ফলে সৃষ্টি হলো জল্পনা ও আশঙ্কা। পুরান মতে মথুরা হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। মথুরা শহরে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির রয়েছে। অনেকের বিশ্বাস এই প্রাচীন মন্দির গুলির মধ্যেই একটি হলো শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান। পরবর্তীতে স্থানে মুঘল শাসক ঔরংজেব শাহী ঈদগাহ মসজিদ নির্মাণ করান। ইতিহাসবিদদের মধ্যে অনেকে মনে করেন, প্রাচীন কেশব নাথ মন্দির ভেঙে সুলতান এই মসজিদটি তৈরি করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে এই মন্দির চত্বরের মালিকানা এলাহাবাদ হাইকোর্ট মথুরার রাজার হাতে তুলে দিয়েছিল। সম্প্রতি এই মন্দিরের মালিকানা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ঘনিষ্ঠ শ্রী কৃষ্ণভূমি ট্রাস্টের হাতে ন্যস্ত। আবার ১৯৬৮ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে এই মন্দির চত্বরের জমির মালিকানা ট্রাস্টের হাতে থাকলেও, মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার মুসলিম সমাজের হাতে চলে যায়। এরপরেই এখানকার মালিকানা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি শিশু কৃষ্ণ বা শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমনের হয়ে মথুরার দেওয়ানি আদালতে মন্দিরচত্বর থেকে শাহী ঈদগাহ মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করলেন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রঞ্জন অগ্নিহোত্রী। এই মামলায় তিনি মন্দির চত্বরে থাকা মসজিদের ১৩.৩৭ একর জমি খালি করে দেবার দাবি জানিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও শাহী দরগার ম্যানেজমেন্ট ট্রাস্ট এই স্থানটি দখল করে রেখেছে বেশ কিছু মুসলমানের মদতে। এ বিষয়ে তিনি আরো অভিযোগ করেছেন যে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান এর উপরেই শাহি ঈদগাহ নির্মিত। তাঁর অভিযোগ, এই মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান জমি হাতিয়ে নিতেই শাহী দরগা ট্রাস্টের সঙ্গে অবৈধভাবে সমঝোতা করেছে। অনেকে মনে করছেন, শাহী ঈদগাহ এর বিরুদ্ধে এই মামলায় ধর্মীয় উন্মাদনা জেগে ওঠার সম্ভাবনা আছে। তবে ১৯৯১ সালের ‘Places of Worship (Special Provisions Act)’ অনুযায়ী অযোধ্যা ছাড়া স্বাধীনতার সময় অবস্থিত দেশের কোন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এর পরিকাঠামোগত বদল ঘটানো যাবে না। এই কারণে সেই ঈদগাহে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। কিন্তু শক্তিশালী হিন্দু সংগঠনগুলি যদি এ বিষয়ে সরকারকে প্রবল ভাবে চাপ দেয়, তবে সরকারকে অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতেও হতে পারে। আপনার মতামত জানান -