এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আক্রান্ত মানবাধিকার কমিশন, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্ন আদালতের! চাপে প্রশাসন!

আক্রান্ত মানবাধিকার কমিশন, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্ন আদালতের! চাপে প্রশাসন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতী এবং পুলিশ প্রশাসন একত্রিত হয়ে বিরোধী দল বিজেপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই যৌথ হামলার কারণে অনেক বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া বলেও দাবি করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে জাতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে যাতে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করে এবং আক্রান্তদের কথা শোনা হয়, তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

আর সেই মত করেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আক্রান্তদের কথা শুনতে উদ্যত হয় এবং হিংসার ঘটনা কিভাবে আটকানো যায়, তার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু তার মাঝেই সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলে যাদবপুরের এলাকায় সেই কমিশনের সদস্যরা আক্রান্তদের কথা শুনতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আর গোটা বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে যেভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হল। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডিসির জবাবদিহি তলব করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ কলকাতা হাইকোর্টের শুনানি পর্বে যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। যেখানে কলকাতা পুলিশের ডিসি রশিদ মুনির খানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় হাইকোর্ট। কেন সেই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতিরা। বস্তুত, কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদারকি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেই মতো করেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু কমিশনের সদস্যরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তার ফলে আদালত অবমাননা করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশাসনকেই কার্যত চাপের মুখে ফেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, আগামী 13 তারিখে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। আর সেখানেই যাদবপুরের এই ঘটনা নিয়ে জবাবদিহি করতে পারেন কলকাতা পুলিশের ডিসি রশিদ মুনির খান। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় জ্বলন্ত সমস্যা ভোটের ফলাফল পরবর্তী হিংসা। প্রায় প্রতিনিয়ত হাইকোর্টের দরজায় এই হিংসার ঘটনা নিয়ে পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ কার্যত চাপে ফেলে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার কমিশন রাজ্যে এসে আক্রান্ত হতেই সেই গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনকে চাপের মুখে ফেলে দিল আদালত। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!