এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > আক্রান্ত কর্মীদের পাশে নেই দলের হেভিওয়েট নেতারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ দলের সাধারণ কর্মীদের

আক্রান্ত কর্মীদের পাশে নেই দলের হেভিওয়েট নেতারা, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ দলের সাধারণ কর্মীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট করে একটা বড়সড় চমক দেখাতে চেয়েছিল বাম নেতৃত্ব, তবে তাদের এই প্রচেষ্টা একেবারেই মুখ থুবরে পড়েছে। কেবলমাত্র একটি আসনে জয়লাভ করেছে মোর্চা সমর্থিত প্রার্থী। বিধানসভায় এবারে কোন প্রার্থী পাঠাতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস শিবির।

শুধুমাত্র আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী জয়লাভ করেছেন ভাঙ্গড় থেকে। অভিযোগ উঠেছে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিপন্ন সিপিএম, আইএসএফ কর্মীরা, কিন্তু এ ব্যাপারে প্রায় সম্পূর্ণ নীরব আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সুদূর ভিয়েতনাম নিয়ে যাদের হৃদয় কাঁদে? ভাঙড় নিয়ে তাঁরা কেন নিশ্চুপ? সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের বহু কর্মী।

প্রসঙ্গত, ধর্মনিরপেক্ষ সিপিএম কিভাবে আব্বাস সিদ্দিকীর মত ধর্মীয় নেতার সঙ্গে জোট করে, তা নিয়ে প্রথম থেকেই নানা প্রশ্ন উঠেছিল। গত, ২৮ সে ফেব্রুয়ারি বামেদের বিগ্রেড মঞ্চে আব্বাস সিদ্দিকীকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া, ক্ষুব্ধ করেছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে। তবে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়, হাতে- হাত রেখে কাজ করতে দেখা যায় জোটকে।

কিন্তু নির্বাচনের পরাজয়ের পর প্রায় ছন্দপতনের মুখে জোট। ভাঙড় এলাকায় বহু সিপিএম, আইএসএফ কর্মীরা ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘর ছাড়া, অনেকের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, বিধায়ক অফিস খোলার জন্য বাড়ি ভাড়া নিতে পারছেন না, এই পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, দলের সাধারণ কর্মীদের পাশে নেই সিপিএম নেতারা। সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, অথচ ভাঙড় নিয়ে একেবারেই নিশ্চুপ, যা অনেককেই ক্ষুব্দ করেছে। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন দলের একাধিক কর্মীরা। অনেকে প্রশ্ন করেছেন দলের নেতারা কি করছেন? আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সড়কপথে ভাঙ্গড় কতটা দূরে?

ভাঙড় ও আলিমুদ্দিনের দূরত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। অনেকে লিখেছেন, ভিয়েতনাম দিয়ে যাদের চোখে জল আসে, ভাঙড় নিয়ে তাঁরা কেন নিশ্চুপ? বিপদের দিনে দলের নেতারা কোথায় হারিয়ে গেছেন?

সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ী অবশ্য জানিয়েছিলেন যে, ভাঙড় বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বসে নেই তাঁরা। সমস্ত রকম চেষ্টা করছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেছিলেন, ভাঙড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙড় সম্বন্ধে সমস্ত কিছু জানেন।

তবে এই বিষয়ে বেশির ভাগ নেতাই নিরব। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষোভ প্রকাশের পরেও এ বিষয় নিয়ে অনেকেই নিশ্চুপ আছেন। যার ফলে ক্ষোভ বাড়ছে দলের সাধারণ কর্মীদের। অনেকেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন, এই জোট একেবারেই লোক দেখানো জোট, নির্বাচনে পরাজয়ের পর অস্তিত্বই অর্থহীন হয়ে পড়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!