এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > আল কায়দা যোগে এবার রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তির পরিবেশ

আল কায়দা যোগে এবার রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার মাদ্রাসা শিক্ষক! ক্রমশ বাড়ছে অস্বস্তির পরিবেশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে বেশকিছু আল-কায়দা জঙ্গী সংগঠনের সদস্যকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর আধিকারিকেরা। এরপর থেকেই মুর্শিদাবাদের ওপর ব্যাপক নজরদারি শুরু হয় গোয়েন্দাদের। জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে এই জেলা থেকে আরও একজন সন্দেহভাজন যুবককে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত রবিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের নাজরানা গ্রাম থেকে আব্দুল মোমিন মণ্ডল নামের এক সন্দেহভাজন যুবককে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। যে নিয়ে এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেল।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ সে সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল, রাণীনগরে এলাকা থেকে ছয়জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএর আধিকারিকেরা। গোয়েন্দাদের অভিযোগ ছিল, এই সন্দেহভাজনদের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার যোগসাজশ রয়েছে, নাশকতার পরিকল্পনা ছিল এই সন্দেহভাজনদের, জেহাদের মগজধোলাইও চালাতো তারা। মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা আরও তিনজন সন্দেহভাজনকে সেদিন কেরালার এর্নাকুলাম থেকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ।

মুর্শিদাবাদ ও কেরালার এর্নাকুলাম থেকে ধৃত এই সন্দেহভাজনদের একাধিকবার মুর্শিদাবাদ ও দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করেন গোয়েন্দারা। তাদের জেরার সূত্রেই আরেক সন্দেহভাজন আব্দুল মোমিনের নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গ্রেফতার করতে সচেষ্ট হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। এজন্য, পুজোর সময় থেকেই মুর্শিদাবাদে ব্যাপক নজরদারি চালান গোয়েন্দারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আব্দুল মোমিনকে ধরতে গত শনিবার তার শ্বশুর বাড়ি ডোমকল ব্লকের রায়পুরে পৌঁছান গোয়েন্দারা। কিন্তু ধরতে পারেন নি তাকে। এরপর মোমিনকে ধরতে গত রবিবার বিকেল বেলায় নাজরানা গ্রামে পৌঁছান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। রাণীনগরের নাজরানা গ্রামেই মোমিন মন্ডলের বাড়ি। সে যখন তার বাড়ি থেকে মোটর বাইক নিয়ে বের হচ্ছিল, তখনই তাকে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। তাকে পাকড়াও করে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, সন্দেহভাজন আব্দুল মোমিন রায়পুর এলাকার দারুল হুদা শিশু মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। গতকাল তাকে বহরমপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। তাকে দিল্লি নিয়ে যাবার জন্য ট্রানজ়িট রিমান্ড করেছে এনআইএ। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, মাদ্রাসা থেকে নানারকম জঙ্গী কার্যকলাপ চালাত সে। ছাত্র পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে জিহাদের ট্রেনিং দিত। এদিকে জলঙ্গি ও শেখ পাড়া এলাকায় সন্দেহ ভাজনদের যে গোপন আস্তানায় বৈঠক বলতো, সেখানেও মোমিনের যাতায়াত ছিল বলে গোয়েন্দারা জানান।

এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন যে, মোমিনকে জেরা করে রানীনগর এলাকা থেকে আরও তিনজন সন্দেহভাজনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাদেরকেও পাকড়াও করার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এভাবেই বাংলাদেশ সীমানাবর্তী মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন স্থান থেকে একের পর এক নাশকতার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন ধরা পড়ায় আশঙ্কা বাড়ছে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!