এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়কের হঠাৎ করে ব্রাহ্মণ ভোজন, সঙ্গে মোটা টাকা ও উপহারের ব্যবস্থা কেন? উঠছে প্রশ্ন

তৃণমূল বিধায়কের হঠাৎ করে ব্রাহ্মণ ভোজন, সঙ্গে মোটা টাকা ও উপহারের ব্যবস্থা কেন? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সাধারণত ধর্মীয় রাজনীতি করার জন্য বরাবরই বিজেপির দিকে কটাক্ষবাণ বর্ষিত হয়।। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, একইভাবে ধর্মকে হাতিয়ার করে তুলতে উৎসুক তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা ধরা পড়ল গোসাবায়। সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক হাজার জন ব্রাহ্মণকে ভোজন করিয়ে এবং উপঢৌকন দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়লেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে যেরকম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, ঠিক সেভাবেই তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

একইভাবে এবার রাজ্যের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিও তৃণমূল ও বিজেপির দিকে অভিযোগ তুলে কটাক্ষ করছে, ভোটের আগে ধর্মকে কাজে লাগাতে একইভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে তৃণমূল এবং বিজেপি। সোমবার গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর প্রায় হাজার জন ব্রাহ্মণের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তাঁদের হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেন হাজার টাকা এবং পোশাক। শুধু তাই নয়, যাতায়াতের খরচ বাবদ তাদের হাতে আরো 500 টাকা করে দেওয়া হয়।

খুব স্বাভাবিকভাবেই নিমন্ত্রিত ব্রাহ্মণরা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন এই উপঢৌকন ও খাওয়াদাওয়া পেয়ে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ব্রাহ্মণ ভোজনের ব্যাপারটিকে রাজনৈতিক মহল কিন্তু খুব একটা ভালো মনে নেয়নি। অনেকেই মনে করছেন, ভোটের কথা চিন্তা করেই বিপুল আকারে এই ব্রাহ্মণ সেবার আয়োজন। অন্যদিকে পাল্টা বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে, এবার বিজেপির পাশাপাশি শাসকদলের বিধায়কও ধর্মকে হাতিয়ার করে ভোট বাক্স ভরাতে চাইছেন। তবে গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ সম্পূর্ণ অন্যরকম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁদের মতে, ‘পাপ ধুতে এই আয়োজন’। যদিও তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর দাবি করেছেন, তাঁর এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে দলের কোন যোগ নেই, এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি করেছেন। বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের মতে, ব্রাহ্মণরা বরাবরই শুভ কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু তাঁরা বড়ই অর্থকষ্টে ভোগেন। সে কারণেই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এই উদ্যোগ। প্রসঙ্গত এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোহিত ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন।

সে সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলার রাজনীতিতে কিন্তু ধর্মকে হাতিয়ার করে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তবে তৃণমূল এবং বিজেপি যদি একই ভাবে ধর্মকে সঙ্গী করে ভোট বাক্স ভরার কথা ভাবে, তাহলে বাংলায় কিন্তু অন্য ফল আশা করা যেতেই পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে গোসাবার বিধায়কের ব্রাহ্মণ প্রীতি কার্যত শাসকদলকে যে অস্বস্তির মুখে ফেলেছে সেকথা মুখে নাবললেও স্পষ্ট বলে মনে করছেন অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!