এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আলাপন কি প্রাণ-ভোমরা? মেয়াদ শেষের পরেও মুখ্য উপদেষ্টা কেন? মমতার তৎপরতার নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু!

আলাপন কি প্রাণ-ভোমরা? মেয়াদ শেষের পরেও মুখ্য উপদেষ্টা কেন? মমতার তৎপরতার নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  মেয়াদ শেষের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে তাকে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে তাকে কোনোমতেই রাজ্য ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত রাজ্যের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মজীবন শেষ করার পর তাকে নিজের মুখ্য উপদেষ্টা করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে না চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তৎপরতা নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি করে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, এতদিন মুখ্যসচিব থাকা শুধু নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই দক্ষ প্রশাসনিক অফিসার।

তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মহলের অনেক খোঁজ-খবর রাখেন। তাই তাকে কোনোভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগদান করতে দিতে চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার কারণে রাজ্যেই তাকে রেখে যাতে ভেতরের খবর বাইরে না যায়, তার জন্যই তৃণমূল নেত্রীর এই চেষ্টা বলে দাবি করেছিলেন সমালোচক মহলের একাংশ।

আর এবার এই বিষয়ে বিস্ফোরক টুইট করে রাজ্য সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপ বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষা করতে সমস্ত কিছু করা হচ্ছে বলে দাবি করতে দেখা গেল। অর্থ্যাৎ এতদিন সমালোচক মহলের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর কথার মধ্যে দিয়েও সেই আভাস পাওয়া গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।-

সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি লেখেন, “বাংলায় আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে যা চলছে, তা একটি নাটক‌। বিদায়ী মুখ্যসচিব এমন কি গোপন খবর জানেন যে, তাকে আড়াল করতে স্বর্গ-মর্ত্য তোলপাড় করা হচ্ছে!” পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্দেশ না মানার কারণে রাজ্যের সদ্য-প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাস্তির দাবিতেও সরব হতে দেখা গেছে বিরোধী দলনেতাকে।

ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “আমার দাবি, এই রকম একটি মহামারী এবং বিপর্যয়ের সময় চাকরির নিয়ম অমান্য করার জন্য মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শুধুমাত্র কিছু হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার লক্ষ্যে তার অন্যকে সাহায্য না করার এই আচরণের নিন্দা জানাই। টাকা লুট করা টিএমসির সবথেকে পছন্দের হবি। না হলে এভাবে প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকার আরামদায়ক বেতনে একজন মুখ্যসচিবকে তার অ্যাডভাইজারি পদে বসান! করদাতাদের কষ্টার্জিত টাকা আরও অনেক ভালোভাবে ব্যবহার করা যেত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পর ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিন বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা করা নিয়ে। একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! কেন এভাবে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অবসর নেওয়া একজন প্রশাসনিক অফিসারকে আবার দায়িত্বে বসালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! তাহলে কি তার সঙ্গে কোনো গোপন বোঝাপড়া রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! শুভেন্দু অধিকারীর  বিস্ফোরক ট্যুইটের পর এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীদের একাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চাকরি জীবনের শেষ কালে চরম বিতর্কের মুখে পড়ে গিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে কেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে বিস্ফোরক টুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সতীর্থ।

তৃণমূলের একাংশ অবশ্য দাবি করছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষ প্রশাসনিক অফিসার। তাই তাকে রাজ্যের সুবিধার কাজে রেখে দিতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা করা হয়েছে তাকে। যদিও বা তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত বিরোধীদের দাবি, ভেতরে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। তাই চাকরি জীবন শেষ করা সত্ত্বেও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়তে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে আলাপনবাবুকে নিয়ে বিতর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!