এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > আলাপনের পর রাজ্যের তিন অফিসারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা, বড় পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র, শুরু জল্পনা!

আলাপনের পর রাজ্যের তিন অফিসারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা, বড় পদক্ষেপ নিতে পারে কেন্দ্র, শুরু জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি যে বিষয় নিয়ে সবথেকে বেশি কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত তীব্র হয়েছে, তা হল রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে। 31 মে অর্থাৎ আজ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবন শেষ হচ্ছে। কিন্তু তার মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে অনেক দিন আগেই কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। তবে কলাইকুন্ডাতে দুর্যোগ-পরবর্তী বৈঠকের পর সেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ শেষের আগেই আজ সোমবার দশটার মধ্যে তাকে দিল্লিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার।

এমনকি কেন্দ্রের চাকরিতে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। আর এই পরিস্থিতিতে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত দক্ষ অফিসারের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করা হচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের আহবানে সাড়া দেননি রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে না গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তাকে।

আর এই পরিস্থিতিতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সঙ্ঘাত যখন তুঙ্গে, তখন রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হলো জল্পনা। একাংশ বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবার আরও তিন আইপিএস অফিসারকে চাপে ফেলে দিয়ে রাজ্যকে সমস্যার মুখে ফেলে দিতে পারে।

এক্ষেত্রে তিন আইপিএস অফিসারের মধ্যে উঠে আসছে ভোলানাথ পান্ডে, প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং রাজীব মিশ্রের নাম। একাংশের মতে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আবেদনে সাড়া না দিয়ে রাজ্যে থেকে যাওয়ায় অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দেওয়ার জন্য যেমন তারা শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ তৈরি করতে পারে, ঠিক তেমনই রাজ্যকে চাপে ফেলতে আরও তিন অফিসারকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে কেন্দ্র। যা রাজ্যের শাসক দল এবং সেই তিন আইপিএস অফিসারের ক্ষেত্রে খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডায়মন্ড হারবারে সফরকে কেন্দ্র করে ধুন্দুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছিল ডায়মন্ডহারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং আইজি দক্ষিণবঙ্গ রাজীব মিশ্রকে। সেক্ষেত্রে তিনি আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বদলি করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বা রাজ্য কেন্দ্রের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

আর এই পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যু ঘিরে যখন রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সংঘাত তুঙ্গে, তখন এই তিন আইপিএস অফিসারের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে চাপে ফেলে দিয়ে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বা একাংশ বলছেন, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ যে কথাই বলুন না কেন, অনেকে আবার বলছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় যথেষ্ট ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এক্ষেত্রে তারা প্রতিশোধমূলক আচরণ করে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনকে আরও চাপের মুখে ঠেলে দিতে পারে। আর তাই সেই কারণে অতীতের ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারের ক্ষেত্রে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র, যা রাজ্যের পক্ষে স্বস্তিজনক হবে না বলেই মনে করছেন একাংশ। বলা বাহুল্য, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হিসেবে আজ তার কর্মজীবন শেষ করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একদিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে দুর্যোগ, আর এই প্রভূত সংকটময় পরিস্থিতিতে আজ তার কর্মজীবন শেষ হলেও, তার মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রকে অনেকদিন আগেই আবেদন করে রাজ্য সরকার। তবে সম্প্রতি কলাইকুন্ডাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ এবং দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট প্রদানের পর হঠাৎ করেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে।

যেখানে কর্মজীবন শেষের দিন অর্থাৎ 31 মে সোমবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের চাকরিতে যোগদান করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় কেন্দ্র। আর এর পরেই রীতিমত ক্ষোভ উগরে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্র বাংলার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ করার জন্যই এই রকম পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়ে দেন তিনি‌। এমনকি এই গোটা ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিপন্থী বলে সোমবার একটি চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

এমনকি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যে রাজ্য থেকে ছাড়া হবে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে রাজ্য এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এবার রাজ্যকে পাল্টা চাপে ফেলে তিন আইপিএস অফিসারের ক্ষেত্রে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!