এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অলীক চক্রবর্তী গ্রেপ্তার হতেই ভাঙড় পেয়ে গেলো জমি আন্দোলনের নতুন নেতা

অলীক চক্রবর্তী গ্রেপ্তার হতেই ভাঙড় পেয়ে গেলো জমি আন্দোলনের নতুন নেতা

আন্দোলন করো জন্যে কখনোই থেমে থাকে না। ইতিহাস সাক্ষী, সময় পেরিয়ে আন্দোলন নিজেই খুঁজে নেয় তাঁর নেতৃত্বকে। সেরকমই প্রমাণ আরো একবার দেখা গেলো ভাঙরে। এদিন ভাঙর ফের একবার উত্তপ্ত হয়েছিলো পাওয়ার গ্রীড আন্দোলনের মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের জেরে। মাছিভাঙা,খামারাইট,বকডোবা,মিদ্দাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের জমি আন্দোলনকারীরা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলো প্রিয় নেতার মুক্তির দাবীতে। শুধু তাই নয়,বিক্ষেভের জেরে অবরোধ করে রেখেছিলেন হাড়োয়া রোড। তাঁরা থেমে নেই। আজও দিনভর প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী সংগঠন,’ভাঙর জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি’। তাঁরা হুঁসিয়ারি মন্তব্যে জানিয়েছেন যে, যতক্ষণ না অলীকবাবুকে ছাড়া হচ্ছে তাঁরা দফায় দফায় আন্দোলন করে যাবেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

জানা যাচ্ছে, অলীক চক্রবর্তীর অবর্তমানে আন্দোনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন জমি রক্ষা কমিটির সদস্য মির্জা হোসেন। তাঁর সঙ্গ দিতে এগিয়ে এসেছেন আবুল হোসেন মোল্লা, মোশারফ হোসেন,সজারুল ইসলাম,আব্দুল আজিজ মল্লিক,মিজামুদ্দিন,ইউনুস মোল্লা,ওলি মোল্লার মতো সক্রিয় কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, মির্জা হোসেনই আপাতত দলের প্রধান নিয়ন্তাশক্তি। অলীক বাবু গা ঢাকা দিয়েই তিনিই দল পরিচালনা করছেন। একজন মাছিভাঙার এই বছর ৩৫ এর মানুষটি যুক্ত ছিলেন তৃণমূলের সঙ্গে। তাঁর বাবা ছিলেন পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। ইতিমধ্যেই এই নেতাসুলভ মানুষটির নাম যুক্ত হয়েছে একাধিক মামলার সঙ্গে। মির্জা হোসেন জানিয়েছেন,  ”আন্দোলনের নেতা আমরা সকলেই। অলীকদার অনুপস্থিতিতে সাময়িক শূন্যতা তৈরি হবে হয়তো। কিন্তু তা অচিরেই ঢেকে যাবে।” তাঁর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দানের প্রথম সারিতে রয়েছেন বছর সাইত্রিশের খামারাইটের মোশারফ ওরফে ‘মাস্টার’। এর বিরুদ্ধেও রজু হয়েছে একাধিক মামলা। পাওয়ার গ্রীড প্রকল্প থেকে স্বল্প দূরত্বেই তাঁর বাড়ি। জানা গেছে, অলীক বাবুর অনুপস্থিতিতে গত দু বছর ধরে সভায় বা মিছিলে লোক জড়ো করার দায়িত্ব ছিল তাঁর উপর। এঁদের পাশাপাশি একই লক্ষ্য নিয়ে হেঁটেছেন কমিটির খামারাইট শাখার আহ্বায়ক বছর ৩২ এর আবুল। বামপন্থী নেতা হিসাবে পরিচিত এ নেতা আন্দোলনে নেমে জেলও খেটেছেন। কিছুদিন আগে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও ছোঁড়া হয়। এছাড়া দলে রয়েছেন মাছিভাঙার সজারুল ইসলম।এনারও নামডাক বামপন্থী হিসাবেই। বছর দুই ধরে ইনিও মির্জার ডানহাত হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে খামারাইটের আব্দুল আজিজ মল্লিকের। কৃষক নেতা হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি আছে এই ৫০ এর দোড়গোড়ায় দাঁড়ানো এই মানুষটির। এতোদিনে প্রচুর শ্রদ্ধা কুড়িয়েছেন তিনি গ্রামের মানুষের। এঁরাই কান্ডারী হয়ে ভাঙরের জমি আন্দোলনকে সঠিক দিশা দেখাবে বলেই অনুমান রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!