এখন পড়ছেন
হোম > খেলা > ইলেকশন না সিলেকশন? মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নয়া মোড়

ইলেকশন না সিলেকশন? মোহনবাগানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নয়া মোড়

টানা ৬০ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে সম্মান জানিয়েই তিনি এদিন হালকা চালে বলেছিলেন ‘দেখা যাক, যদি ইলেকশন না হয় তা হলে সিলেকশন হবে।’ আর তাতেই মহাজাতি সদনের অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের সভাঘরে সেই সময়ে উপস্থিত সবুজ মেরুন শিবিরের বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যেরা রে – রে করে উঠলো। সমস্বরে তারা দাবি করলো ‘আমরা সিলেকশন চাই না। ইলেকশন চাই। অঞ্জন মিত্রদের নির্বাচনে হারিয়েই আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই।’

এই দাবি ছিলো মোহনবাগানের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা টুটু বসুর কাছে। আর আগে ক্লাবের বিরোধী গোষ্ঠীর সভাগুলিতে এই সাড়া পাওয়া যায়নি এদিন আবহাওয়ার প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে যেরকম সদস্য – সমর্থকের উপস্থিতি ছিলো। এদিন মানুষের এতোই উপদে পড়া ভিড় ছিলো যে যাঁরা  হলঘরে জায়গা পেলেন না, তাঁরা হলঘরের বাইরে থাকা জায়ান্ট স্ক্রিনে শুনলেন মোহবাগান ক্লাবের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা টুটু বসুর কথা। সাম্প্রতিক কালে যতই মতানৈক্য হোক না কেন অতীতের কোনো এক সুখ স্মৃতির কথা মনে করে এদিন প্রকাশ্যে বন্ধু অঞ্জন মিত্রের বিরুদ্ধে কোনও শব্দ ব্যয় করলেন না তিনি।

নিজস্ব ভঙ্গিমায় টুটু বসু বললেন, এমন সভা করার ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই সভা। এখনও জানি না, তবে অঞ্জন বনাম টুটু হতে পারে। যদি হয়, তা হলে এটুকু জানবেন আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি। এই কথা শেষ হওয়ার সাথেসাথেই সমবেত করতালিতে উপস্থিত মানুষজন টুটু বসুকে সমর্থন জানালেন। আগে কোনোদিন প্রকাশ্যে আসেনি এমনসব অজানা তথ্য এদিন টূটু বসু সকলের মাঝেই উচ্চারন করলেন।  অত্যন্ত আবেগাচ্ছন্ন হয়েই তিনি বললেন, আমার আর অঞ্জনের সম্পর্ক ৬০ বছরের। আমার কোনও ভাই নেই। অঞ্জন আমার ভাই। কিন্তু অঞ্জন বদলে গেছে। অঞ্জনের মধ্যে সেই আবেগ কমে গেছে। চাইনি পরিবার এভাবে ভাঙুক। আরেকটা কথা, আমাদের মধ্যে সম্পর্ক বাইরের কেউ ভাঙেনি। ভেঙে যদি কেউ থাকে, তা হলে সেটা ভাই-ই ভেঙেছে। চেষ্টা করেছিলাম বিচ্ছেদ যেন না হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

তবে যেভাবে আমাকে অপমানিত হতে হয়েছে, সেটা ভুলতে পারিনি। আমার স্ত্রী অসুস্থ। স্ত্রী আমাকে বলেছে, আমি যেন অপমানের যোগ্য জবাব দিই। নির্বাচন হলে আমার প্যানেলকে ভোট দিন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্ত, সঞ্জয় ঘোষ, মহেশ টেকরিওয়াল, সম্রাট ভৌমিক, উত্তম সাহা, অসিত চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিত্‍ চট্টোপাধ্যায়, কম্পটন দত্ত। এছাড়াও ছিলেন প্রবীন  আইনজীবী গীতানাথ গাঙ্গুলি, বীরু চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বিশিষ্ট মানুষজন। এছড়াও দলের অগণিত সদস্য সমর্থক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!