এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার রোহিঙ্গা বিতর্কে বিস্ফোরকভাবে জড়িয়ে গেল শাসকদল তৃণমূলের নাম

এবার রোহিঙ্গা বিতর্কে বিস্ফোরকভাবে জড়িয়ে গেল শাসকদল তৃণমূলের নাম

রোহিঙ্গা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। আর এর মাঝে আবার বিতর্ক বাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ে মদত দিচ্ছে শাসকদল এমনি অভিযোগ উঠলো। এদিন কলকাতার একটি নামি সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী
কলকাতা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের সরবেড়িয়াতে অস্থায়ীভাবে আস্তানা দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের। ওই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের মদতে বাংলাদেশ থেকে মাতলা পার করে এনে এই রোহিঙ্গাদের প্রথমে সরবেড়িয়ায় রাখা হচ্ছে এবং পরে বারুইপুরের হারদহ বা অন্যান্য স্থানে তাদের সরিয়ে দিচ্ছে তৃণমূলের একাংশ, এমনটাই দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা চলছে, দান বক্সের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ চলছে, যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারি জমি সমান করার কাজও চলছে।ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে এদিন নাকি বিষয়টিতে উৎসাহ প্রকাশ করে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উচ্ছেদ হওয়া রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছেন। তাঁর আদর্শে সরবেড়িয়ার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন, এটা ভেবেই ভাল লাগছে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।” তবে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন জানান, ”এ সবের মধ্যে আমাদের দলের কেউ নেই।” সম্প্রতি শেখ শাহজাহানের বাংলাদেশে গিয়ে রোহিঙ্গাদের টাকা বিলি করার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক বারে। এদিন রোহিঙ্গাদের বাংলায় জায়গা দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি জানান, ”আমার নামে যে যা পারছে বলছে। আমি রোহিঙ্গাদের আনছি, এ কথা প্রমাণ করতে হবে। অভিযোগ তুললেই হবে না। এ পারে আমি কেন রোহিঙ্গাদের আনতে যাব?” সূত্রের খবর থেকে জানা যায়, মোট ২৭ টি রোহিঙ্গা পরিবার সরবেড়িয়া এলাকায় আশ্রিত আছে। তার মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা পরিবার শেখ শাহজাহানের বাড়িতে আশ্রিত আছে। এদিন শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক যুবক সেই বাড়িতে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি অস্বীকার করে। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেনা স্থানীয় বাসিন্দারা। মূলত প্রাণের ভয়েই কিছু তথ্য অধরা থেকেই যাচ্ছে বলেই দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!