এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরার বাঙালি রাজ্যপালের ‘শাস্তির’ দাবিতে সরব বাংলার বুদ্ধিজীবীরা

ত্রিপুরার বাঙালি রাজ্যপালের ‘শাস্তির’ দাবিতে সরব বাংলার বুদ্ধিজীবীরা

বিজেপির ত্রিপুরা বিজয়ের পরবর্তী তান্ডবে , লেনিনের মূর্তি ভাঙার ঘটনাকে সমর্থন করে একাধিক ট্যুইট করার প্রতিবাদে , সর্বোচ্চ সাংবিধানিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে নালিশ জানালেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্বজ্জনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় ট্যুইটে বলেছিলেন ,”একটি নির্বাচিত সরকারের কীর্তি অন্য নির্বাচিত সরকারের ধ্বংস করার অধিকার রয়েছে।” এই ঘটনার প্রতিবাদে বাংলার শিল্প সাহিত্য সহ সাংস্কৃতিক মহলের নানা গুণী মানী মানুষ সম্মিলিত ভাবে একটি চিঠি পেশ করেন রাষ্ট্রপতির কাছে। চিঠি বিষয়ে চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন বললেন, “তথাগত রায় বিশিষ্ট মানুষ, শিক্ষিত মানুষ। তিনি কী করে এই অসহিষ্ণুতাকে সমর্থন করলেন! রাজ্যপালের পদে বসে এমন মন্তব্য করা যায় না। আমার খুবই অবাক লাগছে তাঁর এই কথা শুনে। এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত্‍। না হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”

সাহিত্যিক আবুল বাশার জানালেন , “ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় যে কথা বলেছেন, সে কথা সভ্য কথা নয়। সভ্যতার একটা ক্রমবিকাশ আছে, ধ্বংস নয়। একজন রাজ্যপালের কাছ থেকে এ রকম কথা আশা করা যায় না। গণতান্ত্রিক পরিবর্তন কাম্য। কিন্তু তাই বলে পূর্ববর্তী সরকারের ভালো কাজ ধ্বংস করা নতুন সরকারের কাজ হতে পারে না। এতে ভারতের আদর্শ নষ্ট হয়েছে। আর, একজন রাজ্যপাল হয়ে তথাগত রায় সেটা সমর্থন করলেন! আমি ধিক্কার জানাচ্ছি।”

বাঙ্গলা সাহিত্যের অভিজ্ঞ অধ্যাপক ও প্রাবন্ধিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী বলেন, “রাজ্যপালের পদ নিরপেক্ষ জায়গা থেকে সামলাতে হয়। গণতান্ত্রিক ভাবে সরকারের পরিবর্তন হতে পারে। নতুন সরকার এসেছে ত্রিপুরায়। রাজ্যপাল বোধ হয় এই পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন। কিন্তু উনি যে বার্তা দিয়েছেন, তা ঠিক রাজ্যপালের বার্তা নয়। মূর্তিভাঙা নিয়ে রাজনীতি চলে না। এতে ইতিহাসের অবমাননা হচ্ছে।”
রাষ্ট্রপরির কাছে পাঠানো চিঠিতে যেসকল বুদ্ধিজীবির স্বাক্ষর রয়েছে তাদের মধ্যে অন্য সকলের সাথে রয়েছেন প্রসূন ভৌমিকও ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!