এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > শাসকদলের হাতে হেনস্থা হওয়া স্টিয়ারিং কমিটির নেতার পাশে দলমত নির্বিশেষে সকলে

শাসকদলের হাতে হেনস্থা হওয়া স্টিয়ারিং কমিটির নেতার পাশে দলমত নির্বিশেষে সকলে


গত শুক্রবার, ৮ ই জুন দুপুরে নিজের অফিসে দাঁড়িয়েই ‘বহিরাগতদের’ হাতে বেধড়ক মার খান বামমোনোভাবাপন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠন ‘স্টিয়ারিং কমিটির’ নেতা সংকেত চক্রবর্তী। সংকেতবাবুর নিজের কথা অনুযায়ী, ১৫-২০ জনের একটি দল, যার মধ্যে বেশিরভাগই অন্য দপ্তরে কর্মরত সেদিন আমার উপর আক্রমন করে। আক্রমণকারীরা প্রথমে মিথ্যা অভিযোগ আনেন যে তিনি নাকি তাঁদের ছবি তুলছিলেন তাই আক্রমন। পরে যখন তিনি তাঁর মোবাইল বের করেন তখন দেখা যায়, তাতে ফোন আসা ও ফোন যাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজই হওয়া সম্ভব নয়। তখনই, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় আক্রমণকারীরা রীতিমত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জানতে চান, ‘দিদির দপ্তরে’ কোন ‘দুঃসাহসে’ তিনি আরটিআই করেছেন (প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মহাকরণে চিটফান্ড দুর্নীতিতে মূল-অভিযুক্ত এক তৃণমূল মনোভাবাপন্ন নেতার বিরুদ্ধে সংকেতবাবু আরটিআই করেন, এই আক্রমন তারই ফল বলে ধারণা সংকেতবাবুর)? এই ঘটনায় সেদিনই বিধাননগর থানায় অভিযোগ জমা করেন সংকেতবাবু। কিন্তু, পরে তিনি জানতে পারেন যে আক্রমণকারীরাও পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করেছে – যে তিনিই নাকি আসলে গালিগালাজ ও মারামারি করেছেন।

আরও পড়ুন: ‘দিদির দপ্তরে’ আরটিআই করার ‘দুঃসাহস’ দেখিয়ে বেধড়ক মার খেলেন বাম মনোভাবাপন্ন নেতা

কালো ব্যাজ পরে সরকারি কর্মীদের প্রতীকী প্রতিবাদ

গতকাল তাই আর নিজের দপ্তরে যান নি সংকেতবাবু। তিনি এই ব্যাপারে ময়ূখভবনে যান এবং নিজেই নিজের কেসের জন্য সওয়াল করেন। প্রথাগত কোনো আইনি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও তাঁর সওয়াল যথেষ্ট প্রশংসিত হয় এবং দিনের শেষে তিনি ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন আদায় করে নেন। অন্যদিকে, সংকেতবাবুর উপর নিজের দপ্তরেই এইভাবে শারীরিক হেনস্থা হওয়ায়, শাসকদল বাদে অন্যান্য সরকারি কর্মচারীরা দলমত নির্বিশেষে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে। গতকাল গোটা রাজ্য জুড়েই এই ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি কর্মচারীরা কালো ব্যাজ পরে এই ঘটনার প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। কলকাতার সরকারি দপ্তরগুলিতে তো বটেই এই প্রতিবাদের ঝড় লক্ষ্য করা গেছে সুদূর উত্তরবঙ্গেও। অন্যদিকে, এই ঘটনায় সংকেতবাবুর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে তাঁর সঙ্গে গতকাল সকালেই দেখা করেন আশা সংগঠনের সভাপতি। একটু বেলার দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আইএনটিইউসির মলয় মুখার্জি। দিনের দ্বিতীয়ভাগে যখন ময়ূখভবনে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন সংকেতবাবু তখন সেখানে উপস্থিত হন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশিস শীল। সবমিলিয়ে, এই একটা ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীদের বৃহত্তর বিরোধী ঐক্য আরও দৃঢ় হয়ে গেল বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!