এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > এবার তৃণমূলী পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজের এলাকায় ঢুকতে বাধা ও বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

এবার তৃণমূলী পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজের এলাকায় ঢুকতে বাধা ও বোমাবাজির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার হতে দেখা যাচ্ছে বাংলার প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যেক্ষেত্রে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই মূল অভিযোগ তুলছেন তারা। তবে রাজনীতিতে পরাজিত হলেই কি প্রতিহিংসা জন্ম নেয় সেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে! বিগত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কিছুটা খারাপ ফলাফল করার পর বিজেপির উত্থান হলে বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের হামলার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।

আর এবার রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ায় তারা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করল ঘাসফুল শিবির। বস্তুত, দীর্ঘদিন ধরেই কোচবিহার জেলার মহিষকুচি 1 এবং বারোকোদালি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা ঘরছাড়া হয়েছেন। তবে সম্প্রতি তারা এলাকায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে মহিষকুচি 1 গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সেই পঞ্চায়েত সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে এলে বিজেপির সাথে তাদের চরম সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।

পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বোমাবাজি, সরকারি আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর এবং বিডিওকে নিগ্রহ করার মত ঘটনাও সামনে আসে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনার পেছনে ভারতীয় জনতা পার্টি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। যদিও বা পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক মানিক দে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পঞ্চায়েত সদস্যরা উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়িয়েছে। এদিন তাদের গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশ তাদের প্রথমে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিলেও বিজেপি বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসেছে। সেখানে বোমা মারার পাশাপাশি পুলিশ এবং বিডিওর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাদের কোনো বহিরাগত এদিন পঞ্চায়েত অফিসে যায়নি। সন্ত্রাস চালিয়ে কিছু করা যাবে না। ওদের জন্যই গ্রামবাসীরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”

তাহলে কি এই গ্রাম পঞ্চায়েতে যে অশান্তি হয়েছে, তার জন্য মূল দায়ী ভারতীয় জনতা পার্টি? এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জের বিজেপির সংযোজক উৎপল দাস বলেন, “তৃণমূল বারবার বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এদিন এলাকার লোকজন তা রুখে দিয়েছে। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। কিন্তু এদিন বাইরে থেকে তৃণমূল লোক জড়ো করে পঞ্চায়েত অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেছে। আমরা কাউকে বাধা দিইনি। আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

তাঁর আরও বক্তব্য, “ওরা এলাকায় বোমা বেড়েছে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ। আমরা বোমা বানাই না, বোমা ছুড়িও না।” এদিকে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে তাকেও শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তুফানগঞ্জ 2 এর বিডিও ভগিরথ হালদার। এদিন তিনি বলেন, “আমি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এলে আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ওদের হাতে একটি রাজনৈতিক দলের ঝান্ডা ছিল।

পঞ্চায়েত সদস্যরা এদিন অফিসে আসতে চেয়েছিল। আমার কিছু কাগজপত্র দেখার ছিল। তাই আমি এসেছিলাম।” এদিকে এই গোটা ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে সরকারি আধিকারিকরা হেনস্তার শিকার হলেন, তাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ আর কতদিন চলবে এবং তাতে করে বাংলা ঠিক কতটা অশান্ত হবে! তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!