প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নীচুতলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দূর্যোগে ত্রান দেওয়া নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূলের নিচুতলার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি এবং সিপিএমের নাম জড়িয়ে পড়ল। যার ফলে বিরোধী এই দুই রাজনৈতিক দল চরম অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এতদিন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতিতে ব্যাপক অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু এবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠায় রীতিমত বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার বাগদা বিধানসভার কালিয়ারা পঞ্চায়েতে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে সরব হন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার হুগলির পান্ডুয়ায় বেলুন ধামাসীন পঞ্চায়েতের 2 বিজেপি সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ 24 পরগনার রাধাকান্তপুরে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের দুই বিরোধী দল বিজেপি এবং সিপিএমের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা এতদিন বিরোধীরা এই ইস্যুকে তুলে ধরে ঘাসফুল শিবিরকে ব্যাপক বিপাকে ফেলেছিল। আর এবার সেই ঘাসফুল শিবির বিরোধীদের বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ পাওয়ায় ঘাসফুল শিবির জনমানসে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অনেকটাই কোণঠাসা করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

তবে এতদিন তারা সর্বত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছে, কিন্তু এবার যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠল, তাতে তারা কি চাপে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি প্রয়োজনে তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্তদের নাম এখনই বলে দিতে পারব। যারা বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তারা তাদের নাম বলুক। আমরা তদন্ত করে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।”

অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের এই দুর্নীতির কটাক্ষের মুখে পড়ে এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কার্যত প্রমাণ করে দিলেন যে, দুর্নীতিকে কখনই বিজেপি বরদাস্ত করবে না। তাই যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের নাম যদি জানানো হয়, তাহলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। সব মিলিয়ে এখন শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় জনসাধারণের কাছে প্রায় কমবেশি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভূমিকাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।