এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ প্রাক্তন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে! তীব্র শোরগোল

এবার বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ প্রাক্তন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে! তীব্র শোরগোল


সংস্কৃতির শহর বালুরঘাটে 2011 সালে জিতে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন শংকর চক্রবর্তী। কারা মন্ত্রী, সমবায় মন্ত্রীর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী করে দেন শংকরবাবুকে। পেশায় আইনজীবী শঙ্করবাবু প্রশাসনিক কাজে অত্যন্ত দক্ষ বলেই শুনতে পাওয়া যায়। তবে তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে না মেশার অভিযোগ বারেবারে উঠেছে। কিন্তু দুর্নীতির কেশাগ্র শঙ্কর চক্রবর্তীকে স্পর্শ করতে পারেনি বলেই দাবি করেছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল।

শুধু তাই নয়, বালুরঘাটের মাটিতে কান পাতলেই শোনা যায়, শঙ্কর চক্রবর্তীর মত সৎ মানুষ সত্যিই দুটো পাওয়া যাবে না। কিন্তু এবার সেই শংকর চক্রবর্তীই জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে তার পিএ দেবপ্রিয় সমাজদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নিজের শ্যালক সহ আরও 23 জনকে বালুরঘাট পৌরসভাতে চাকরি দেওয়ার। তবে এই কথা আমরা বলছি না। এই কথা বলছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরাই।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ বোলালে দেখতে পাওয়া যাবে, বালুরঘাটের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা ফেসবুকে শংকর চক্রবর্তী এবং দেবপ্রিয় সমাজদারের ছবি দিয়ে এই বিষয় তুলে ধরে সরব হয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, “বালুরঘাট বিধানসভার প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর পিএ দেবপ্রিয় সমাজদার চাকরি দিলেন নিজের শালা সহ আরও 23 জনকে বালুরঘাট মিউনিসিপ্যালিটিতে। ধিক্কার জানাই আপনাকে। আপনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে আপনি এইসব করেছেন। আজ আপনার দলের নিজের কর্মীরা আপনার ওপর ক্ষিপ্ত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর গোটা ঘটনা নিয়ে আদ্যপ্রান্ত সততার প্রতিমূর্তি বলে পরিচিত শংকর চক্রবর্তী এখন প্রবল চাপে পড়েছেন বলেই দাবি একাংশের। শুধু তাই নয়, গোটা ঘটনায় যেভাবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের দ্বারা প্রকাশ্যে শংকরবাবুর নামে সরব হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে, তাতে দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রবল চাপে পড়েছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এমনিতেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা রাজনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে।

সম্প্রতি একটি খবর রটতে শুরু করেছে যে, অর্পিতা ঘোষকে সরিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে শংকর চক্রবর্তীকে। পাশাপাশি বিপ্লব মিত্রকেও ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশের মধ্যে এই খবর নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। আর এমতাবস্তায় এবার শংকর চক্রবর্তীর মত ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেল বালুরঘাট শহরে।

এই সেই বিতর্কিত পোস্ট – যা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে বালুরঘাটের রাজনীতি।

আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ এই পোস্ট করায় তৃণমূলের অনেক কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অনেকে বলছেন, শংকর চক্রবর্তীর মত বিদ্বজ্জন মানুষের প্রতি অনেকের ভরসা ছিল। কিন্তু তার পিএর দুর্নীতিও যেভাবে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এল, তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। দলের অনেক কর্মী ছিল, যারা শঙ্করবাবু নির্বাচনে প্রাণপাত করে খেটেছিলেন। সেক্ষেত্রে তাদের কথা কেন মনে পড়ল না! যদিও বা এই প্রসঙ্গে অনেকে বলছেন, শংকরবাবু সম্পর্কে মিথ্যা খবর রটিয়ে রটানো হচ্ছে।

আর এখানেই প্রশ্ন, এটা তো বিরোধীদের তরফ থেকে কেউ রটাচ্ছে না। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল নেতা শংকর চক্রবর্তী এবং তার পিএর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি এই ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসল! এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে সমালোচক মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে এখন তৃণমূলের প্রাক্তন হেভিওয়েট মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর পিএর মাধ্যমে তার শ্যালক এবং 23 জনকে বালুরঘাট পৌরসভা চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে রীতিমত বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!