এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > হেভিওয়েট দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে সরব তৃণমূলেরই একাংশ! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

হেভিওয়েট দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে সরব তৃণমূলেরই একাংশ! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

লোকসভা নির্বাচনের আগে দলীয় দুর্নীতি ক্রমশ বাসা বাঁধার কারণে লোকসভায় যে তৃণমূলকে খারাপ ফলের সম্মুখীন হতে হয়েছে, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। কিন্তু নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের দুর্নীতির কারণে তৃণমূলের এই খারাপ ফলাফল হয়েছে বলে একাংশ মনে করেন। তবে এবার হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের অনেক সদস্য একদিকে যেমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বাড়িয়ে দিলেন, ঠিক তেমনই দুর্নীতির ঘটনাও প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

সূত্রের খবর, মালদহ জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সময় মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের রতুয়া 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবেদা বেগম সহ একাধিক সদস্য‌। ইতিমধ্যেই তারা বিধায়কের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। আর দলের জেলার শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এইভাবে দুর্নীতির অভিযোগ করায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে রতুয়া 1 পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আবেদা বেগম বলেন, “বিধায়ক সময় মুখোপাধ্যায় আমাদের কাছে কাটমানি চেয়েছেন। এমনকি কাটমানি না দিলে চরম হুমকি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। যে সব কাজকর্ম চলছে, সবকিছু থেকে তাকে কাটমানি দিতে হবে। আমি দেব না। আমরা স্বচ্ছভাবে কাজ করতে চাইছি। কিন্তু এখানে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চাইছেন। আমরা তাই প্রতিবাদ করেছি। থানা এবং বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই ব্যাপারে সেই পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি হামিদা বানু বলেন, “এর আগে সমরবাবু কাটমানি নিয়েছেন কিনা, তা আমার জানা নেই। তবে সম্প্রতি আমাদের সভাপতির কাছে তিনি কাটমানি চেয়েছেন। ব্লকের মধ্যে একাধিক কাজ হচ্ছে। সব কাজের ক্ষেত্রে তিনি কাটমানি চেয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। এদিন তাই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।” এদিকে দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থেকে শুরু করে সদস্যরা বিধায়কের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তারা কি তদন্তের নির্দেশ দেবেন না? নাকি বিধায়ক বলেই তিনি ছাড় পেয়ে যাবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি কি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা দ্রুত আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব।” কিন্তু যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় এই ব্যাপারে ঠিক কি বলছেন?

এদিন তিনি বলেন, “বিধানসভা এলাকার একাধিক দুষ্কর্ম নিয়ে সরব হওয়ায় মুষ্টিমেয় কিছু নেতা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করছে। এলাকায় ঘুরলেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যে অভিযোগ করেছেন, তা ভিত্তিহীন। এর পেছনে কিছু অভিসন্ধি রয়েছে। বিষয়টি দলকে জানিয়েছি।” তবে সমরবাবু যে কথাই বলুন না কেন, দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করে আসছেন অনেকে।

আর এবার প্রকাশ্যে দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোয় তৃণমূলের অস্বস্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এতে করে একদিকে যেমন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল, ঠিক তেমনই তৃণমূলের বিধায়ক পর্যন্ত যে দুর্নীতি পৌঁছে গেছে, তাও স্পষ্ট হয়ে গেল বলে দাবি সমালোচক মহলের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!