রাজ্যের মন্ত্রীরাই বিজেপির পঞ্চায়েতে জয়ী সদস্যদের অপহরণ করছেন! সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ কলকাতা পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া বিশেষ খবর রাজ্য August 13, 2018 এবারে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় জয়ী হয়েছে বিজেপি প্রার্থীরা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বোর্ড গঠনের ঠিক আগের মুহুর্তেই বিজেপির সেই জয়ী প্রার্থীরা শাসকদলে নাম লেখানোয় তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আর এবার দলের জয়ী প্রার্থীদের এইভাবে শাসকদলে টানা নিয়ে এবার মুখ খুলল বিজেপি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২ রা জুলাই বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক জয়ী প্রার্থী পরিমল মাহাতো যোগ দেন তৃনমূলে। এদিন সেই ব্যাপারে শাসকদল তৃনমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাঁদের প্রার্থীকে অপহরনের জন্য রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সায়ান্তনবাবু বলেন, “শান্তিরাম মাহাতোর মদতে গত ১ লা জুলাই আমাদের পারা পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য পরিমল মাহাতোকে অপহরন করে রাখা হয়। আর তার পরদিনই তাঁকে তৃনমূলের পতাকা ধরানো হয়”। বিজেপির দাবি, ১১ আগষ্ট পর্যন্ত তাঁদের এই জয়ী সদস্যকে দক্ষিন ২৪ পরগনার একটি বেসরকারী হোটেলে বন্দী করে রাখলে রবিবার সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীরা। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিন সেই পরিমল মাহাতোর হাতে ফের বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়া হয়। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা ও অমিত শাহের সভায় যেতে বাধা দেওয়ার জন্য তৃনমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্যনেতা সায়ন্তন বসু। অন্যদিকে, গত শনিবার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে আইনি পথে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃনমূল। এদিন সেই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “রাজ্য সরকার তো প্রতিদিন বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে। তাই ওদের মামলার আমরা গুরুত্ব দিই না”। তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর বিরুদ্ধে বিজেপির দলীয় সদস্যকে অপহরন করার অভিযোগ তোলায়, বিজেপিকেই পাল্টা তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “তৃনমূল অপহরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ওই পরিমল মাহাতো নিজেই আমার অফিসে এসে তৃনমূলে যোগদান করেছেন। বিজেপির এই মিথ্যাচারের জবাব মানুষ লোকসভা ভোটে দিয়ে দেবে”। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ফের শাসক বনাম বিরোধীর বাকবিতন্ডায় সরগরম রাজনৈতিক মহল। বিজেপি অফিসে বসে পরিমল মাহাতোর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞাপ্তি – আপনার মতামত জানান -