শাসক ঘনিষ্ঠ সরকারি কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, জোর শোরগোল! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 5, 2020 রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে বহু দিন ধরেই সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। বেশ কিছু দুর্নীতি ধরাও পড়েছে ইতিমধ্যে। যার ফলে অভিযোগ আরো জোরালো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি রব তুলেছিল রেশনিং দুর্নীতি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে। কিন্তু এবার 100 দিনের কাজের টাকা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি প্রকাশ পেল মুর্শিদাবাদে। সূত্রের খবর, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ এক রাজ্য সরকারি কর্মী এবং তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে 100 দিনের কাজের টাকা দিনের-পর-দিন ঢুকেছে। এই ব্যাপারটি সামনে আসতেই রীতিমতো হুলুস্থুলু পড়ে যায় মুর্শিদাবাদের সুতি দু’নম্বর ব্লকে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস মুর্শিদাবাদের ভিডিও সৌভিক ঘোষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ আলী অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। দুর্নীতির ঘটনাটি সামনে আসতেই জানা গেল, সুতি 2 ব্লকের জগতাই-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান যিনি একটি সরকারি গ্রন্থাগারে কর্মরত। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন কিছু তথ্য সামনে আসে, যাতে বোঝা যায় সরকারি কর্মচারী মতিউর রহমান এবং তার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে 100 দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে পর পর। এই বিষয়টি নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানায় স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। এলাকার কংগ্রেস নেতা তথা জগতাই-১ পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সাইদুল আলম জানিয়েছেন, ‘মতিউর রহমান সরকারি কর্মী হয়ে এমজিএনআরজিএ’র টাকা লুটছে। তাঁর জব কার্ড নম্বর WB – ১২-০২৬-০০৪-০০২ / ১৩৮। এই কাজে সম্পূর্ণভাবে জড়িত পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্মাণ সহায়ক। টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরকারি টাকা আত্মসাত্ করছে তাঁরা। ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুধুমাত্র একজন বা দুইজন যুক্ত নয়, ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন জন অবৈধভাবে 100 দিনের কাজের টাকা লুট করছে। এই দুর্নীতির যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত চেয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ আলী জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ফলানোর জন্য এ ধরনের নোংরা অভিযোগ প্রচার করা হচ্ছে। পুরো ব্যাপারটি নিয়ে সুতি 2 ব্লকের বিডিও সৌভিক ঘোষ জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ দুর্নীতি রোধ করার জন্য শাসকদলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই আবেদন-নিবেদন করুক না কেন, প্রদীপের নিচে সেই অন্ধকার রয়ে গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, আর এক বছরের মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এই সময় যদি এ ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ পায় তাহলে শাসকদলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সে দিকেই লক্ষ্য রাখবে সবাই। আপনার মতামত জানান -