এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > একের পর এক দলীয় নেত্রীদের ধর্ষণ ও মহিলা ঘটিত অভিযোগে বিধানসভার আগে ঘুম উড়তে চলেছে বিজেপির?

একের পর এক দলীয় নেত্রীদের ধর্ষণ ও মহিলা ঘটিত অভিযোগে বিধানসভার আগে ঘুম উড়তে চলেছে বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু বাংলা রিপোর্ট – বাংলায় পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। করোনা আবহে, সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে অবশ্য সামান্য সংশয় আছে। কিন্তু, আগামী বছর এপ্রিল-মে মাসে সেই নির্বাচন হবে ধরে নিয়েই নিজেদের প্রস্তুতি সারছে সব রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় গেরুয়া ঝড় যেভাবে গোটা রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের বাগানকে তছনছ করে দিয়েছিল, তাতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও মূল লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি হতে চলেছে।

এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নামছে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে। অর্থাৎ, রাজ্যে তারা ইতিমধ্যেই ১০ বছরের শাসনকাল কাটিয়ে ফেলে নির্বাচনে যাবে। খুব স্বাভাবিক নিয়মেই, শাসকদলের বিপক্ষে একটা তীব্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থাকবে। মূল প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে চলা বিজেপি – ইতিমধ্যেই শাসকদলের বিভিন্ন স্তরের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে। বাংলায় ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ হলে কিভাবে সবকিছু থেকে দলতন্ত্র মুক্ত করে – এই স্বচ্ছ প্রশাসন উপহার দেবে গেরুয়া শিবির – তাই বারেবারে তুলে ধরছেন অমিত শাহ-দিলীপ ঘোষরা।

কিন্তু, তৃণমূলকে বিঁধতে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের দলের নেতাদের ‘কুকীর্তিতে’ রীতিমত নাজেহাল অবস্থা গেরুয়া বাহিনীর। যত দিন গড়াচ্ছে, ততই একের পর এক নারী-ঘটিত ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। প্রাথমিকভাবে এই সব ঘটনাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হলেও, বিজেপির অস্বস্তি তীব্র হচ্ছে – কারণ এইসব অভিযোগ আসছে বিরোধী দল নয়, বরং নিজেদের দলের নেত্রীদের কাছ থেকে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই ধরনের অভিযোগের মুখে পরে পদত্যাগ করেছেন কলকাতার এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এবার, গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি নতুন করে আরও বাড়িয়ে দিল উত্তরবঙ্গ। সূত্রের খবর, বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক এবং দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতা মিঠু দাসের বিরুদ্ধে এবার ধর্ষণের মত বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে এসেছে। আর তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বাইরের কেউ নয়, করেছেন স্বয়ং জলপাইগুড়ি জেলার যুব মোর্চার সভানেত্রী। আর এই অভিযোগ সামনে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে কার্যত ঝড় উঠে গেছে।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার খুবই পরিচিত মুখ এই মিঠু দাস। আলিপুরদুয়ার ও কুচবিহারের তাঁর যথেষ্ট বিচরণ – বলে দলীয় সূত্রেই জানা যাচ্ছে। তবে ধর্ষণের অভিযোগ খবরে আসতেই তাঁকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। এদিকে সংশ্লিষ্ঠ নেত্রীর অভিযোগ, তাঁকে ঠান্ডা পানীয়ের সাথে কিছু মিশিয়ে বেহুশ করে ধর্ষণ করেন মিঠু দাস। এর পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ জানিয়েছেন, এর আগেও অনেকের সাথেই নাকি এমনটি করেছেন মিঠুবাবু আর প্রতিবারই নিজের ক্ষমতার জোরে পাড় পেয়ে গেছেন।

তবে, বিজেপির ওই নেত্রী দলীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েই ক্ষান্ত হন নি, তিনি এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন জলপাইগুড়ি টাউনের মহিলা থানায়। স্বাভাবিকভাবেই, অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ অভিযুক্ত মিঠু দাসের সন্ধান শুরু করেছে। তবে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন – লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছিল। আর তার পিছনে অন্যতম কারণ ছিল তৃনামল নেতাদের দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু, ক্ষমতায় না এসেই যেভাবে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তর থেকে আসছে, তাতে বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ঘুম উড়বে না তো? উত্তরের খোঁজে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!