এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আলকায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর CBI-এর নজরে গরুপাচার কাণ্ড! কলকাতা সহ বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি

আলকায়দা জঙ্গি গ্রেপ্তারের পর CBI-এর নজরে গরুপাচার কাণ্ড! কলকাতা সহ বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য থেকে সম্প্রতি ধরা পড়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে বেশ কয়েকজন আল কায়দা জঙ্গি। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইতিমধ্যে। আর তারপর থেকেই রাজ্য গোয়েন্দা বাহিনী সজাগ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের একের পর এক ঘটনা। এমনকি রাতের অন্ধকারে হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল করলে দেখা যায়, ট্রাকে গরু চাপিয়ে ঢাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এই গরু পাচার চক্র সীমান্তে হলেও তার খুঁটি কিন্তু কলকাতা শহরসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

আর তাই এবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই তল্লাশি শুরু করেছে গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে। এদিন সকাল থেকে অভিযান চলেছে রাজারহাট, সল্টলেক ও তপসিয়ায়। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, লালগোলা এবং শিলিগুড়িসহ বিভিন্ন জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। গরু পাচার কাণ্ডে আলোকপাত করার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিল সিবিআই। সেই অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজ্যজুড়ে ম্যারাথন তল্লাশি।

সূত্রের খবর, সিটি সেন্টার টুর পাশে বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমার যিনি কর্মসূত্রে কর্ণাটক থাকতেন, তবে সীমান্ত এলাকায় যখন তিনি কাজ করতেন তখন গরু পাচার চক্রে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছিলেন। এই খবরের ওপর ভিত্তি করেই আজ তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে বেশকিছু নথিপত্র পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তকারীরা নজর রেখেছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ইমানুল এবং ম্যাথিউ নামে আরেক বিএসএফ কমান্ডারের ওপর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে অবশ্য সিবিআই ম্যাথিউ এবং ইমানুলকে গ্রেপ্তার করেছিল। তবে বর্তমানে ইমানুল ছাড়া পেয়ে গেছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমানুল ম্যাথিউকে 45.5 লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু কেন? কি কারণে এই টাকা দেওয়া হয়েছে, তা জানার জন্যই এবার মুখোমুখি জেরা করা হতে পারে তাঁদের বলে মনে করা হচ্ছে। সিবিআই ইতিমধ্যেই আরও বেশ কয়েকজনকে জেরা করে গরু পাচার চক্রের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরু পাচার চক্রের সাথেও আতঙ্কবাদীদের যোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সে কারণেই আল-কায়দা জঙ্গি ধরা পড়ার সাথে সাথে রাজ্যের সিবিআই দপ্তর থেকে শুরু হয়ে গেছে জোরদার তল্লাশি রাজ্যজুড়ে। আপাতত গরু পাচার চক্রের পেছনে অন্য কোন সন্ত্রাসী চক্র লুকিয়ে আছে তা জানার জন্য উৎসুক ওয়াকিবহাল মহল। তবে গোয়েন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, সীমান্তে বিএসএফের কড়া নজর এড়িয়ে কিভাবে গরু পাচার করা যায়? তাহলে কি দেশ রক্ষকই দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারতি লঘু করে দেখছে? প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে নজর রাখতে হবে তদন্তের সূত্রে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!