‘আমরা আর কদিন আছি ওরাই তো দেখবে’ মুখ খুলেই জল্পনা বাড়ালেন জিতেন্দ্র কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য December 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের অন্দরে বিদ্রোহ ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার নিতে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারীর পর দিকে-দিকে তৃণমূল একাধিক জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হাইপ্রোফাইল নেতারা দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। যা নিঃসন্দেহে শাসকদলের চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক বিধায়ক প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসকদলের। আসানসোলের মেয়র তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি পত্রবোমার পর তাকে রাতারাতি কলকাতায় ডেকে পাঠানো হল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার এই ব্যাপারে একটি হাইভোল্টেজ বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে স্বয়ং প্রশান্ত কিশোরের। পাশাপাশি এই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর বৈঠক নিয়ে যখন প্রস্তুতি এবং জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, ঠিক তখনই মঙ্গলবার সকালে সেই ব্যাপারে মুখ খুললেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সূত্রের খবর, এদিন এই তৃণমূল নেতা বলেন, “কাল রাতে অরূপ বিশ্বাস আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি দিদির সঙ্গে বসতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেন, 17 তারিখ ফিরে আসার পর 18 তারিখ দিদি 5 মিনিট সময় দিতে পারবেন। দিদির সঙ্গেই যখন কথা হবে, আজ আর না বসলেও হবে। আমি জেনে নেব ওরা কি বলে। যদি বলে কালকেই আসতেই হবে, তাহলেই যাব। না হলে 18 তারিখ যাব।” এদিকে এই ব্যাপারে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “জিতেন আমার ছোটভাই। দলের মধ্যে এভাবে কথা বলা তো ঠিক নয়। চিঠি দিয়েছে বলে খারাপ লেগেছে। আমরা আর কদিন আছি! ওরাই তো দেখবে।” স্বাভাবিক ভাবেই ফিরহাদ হাকিমের এই ধরনের মন্তব্য এখন নতুন করে জল্পনা সৃষ্টি করেছে রাজ্যজুড়ে। হঠাৎ এই ধরনের মন্তব্য করে কি বোঝাতে চাইলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী! কেন তারা থাকবেন না! এখন সেটাই নানা মহলে সংশয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলতে শুরু করেছেন, আসলে ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতারা বুঝতে পেরেছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের ক্ষমতায় ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই জেলার নেতাদের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে এখন নরম সুর পোষণ করতে দেখা যাচ্ছে তাদের বলে দাবি সমালোচক মহলের একাংশের।অনেকে আবার সমালোচক মহলের এই ধরনের বক্তব্যকে মানতে নারাজ। তাদের পাল্টা যুক্তি, ফিরহাদ হাকিম এই ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত সহজ সরল ভাবেই বলেছেন। তিনি এই ধরনের কথা বলে বোঝাতে চেয়েছেন যে, সামনের দিন নতুন মুখরা উঠে আসবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে জিতেন্দ্র তিওয়ারির অভিমানকে ঘোচানোর চেষ্টা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জিতেন্দ্রবাবুর মত নেতাদের বার্তা দিতে চেয়েছেন যে, আগামী দিনে তারাই দলের সমস্ত কাজ করবেন। এর সঙ্গে বিতর্ক তৈরি করা সত্যিই নিন্দনীয় বলে দাবি করছেন তৃণমূলের একাংশ। তবে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ফিরহাদ হাকিমের এই ধরনের মন্তব্য এখন জল্পনার চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -