“আমার নাম কেষ্ট মণ্ডল, আমাকে আটকানো মুশকিল” ফল সামনে আসতেই হুঁশিয়ারি অনুব্রতর! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য May 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শেষ দফায় বীরভূমে নির্বাচন হয়েছিল। বারবার বীরভূম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। এক্ষেত্রে বীরভূম জেলায় অনুব্রত মণ্ডলকে প্রতিবার নির্বাচনের আগে নজরবন্দি করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। এবারেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। নির্বাচনের আগে তাকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নজরবন্দি করা হয়েছিল। তারপরই এই ঘটনা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তবে নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। তার জেলায় সব আসনে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি রাজ্যে 220 থেকে 230 টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে তার সার্বিক ক্ষেত্রে গোটা রাজ্যের এই ফলাফল কাঁটায় কাঁটায় না মিলে গেলেও, ইতিমধ্যেই 200 এর সংখ্যা পার করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে ফলাফল সামনে আসতে না আসতেই কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। নিজের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি যা বলেন, তা যে করে দেখান, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন ফলাফল সামনে আসতেই সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আর সেখানেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, “আমার নাম কেষ্ট মণ্ডল। আমাকে আটকানো মুশকিল। আমি মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছি।” অর্থাৎ বারবার তাকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। তার বিরুদ্ধে বীরভূম জেলায় ভোটে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু এতকিছু করার পরেও বীরভূম জেলায় তৃণমূলকে শীর্ষে পৌঁছে দিতে তার যে জুড়ি মেলা ভার, তা বুঝিয়ে দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পর্যবেক্ষকদের মতে, অনুব্রত মণ্ডল এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজের ক্যারিশমা আরও একবার সামনে আনার চেষ্টা করলেন। প্রায় প্রতিবার নির্বাচনের আগে নকুল দানা থেকে শুরু করে গুড় বাতাসা, বিভিন্ন মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। যার জেরে নির্বাচনের আগে তাকে কমিশনের পক্ষ থেকে নজরবন্দি করা হয়। এবারেও যখন তাকে নজরবন্দি করা হয়েছিল, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই বীরভূম জেলাতে বিজেপিও ভালো ফল করবে বলে দাবি করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তবে ফলাফল প্রকাশের দিন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচার করবে বলে দাবি করা বিজেপি নেতারা দুই অঙ্কের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত পেরোতে পারেনি। আর এই পরিস্থিতিতে “আমার নাম কেষ্ট মঙ্গল। আমাকে আটকানো মুশকিল” বলে কার্যত বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার চেষ্টা করলেন অনুব্রত মণ্ডল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -