এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কবে থেকে পাবেন ফ্লিপকার্ট,আমাজন সমেত অনলাইন সংস্থাগুলো থেকে কেনাকাটার সুবিধা? জেনে নিন

কবে থেকে পাবেন ফ্লিপকার্ট,আমাজন সমেত অনলাইন সংস্থাগুলো থেকে কেনাকাটার সুবিধা? জেনে নিন

টানা 21 দিনের লকডাউন ভারতবর্ষের শেষ হয়েছে। তবে তারপর আবার টানা 19 দিন লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা কেউ জানেন না। মানুষ গৃহবন্দী। অনলাইন সংস্থাগুলোতে অর্ডার দিয়েও রীতিমতো ফাপড়ে পড়েছেন অনেকে। কেননা লকডাউন থাকার কারণে সেই জিনিস তাদের বাড়িতে আসছে না। তবে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন করার পর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, কুড়ি এপ্রিলের পর থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিলতা আনা হবে। আর তখন থেকেই অনেকের মনে তৈরি হয়েছিল আশা।

ই কমার্স সংস্থাগুলি মোবাইল, ফ্রিজ সহ পোশাক বিক্রির ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া আর কোনো কিছু মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে না বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি হওয়ায় এখন প্রবল বিপাকে পড়ল এই সংস্থাগুলি। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় লকডাউন জারি করার পর অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের সরবরাহ এমনিতেই স্বাভাবিক রেখেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কুড়ি এপ্রিল থেকে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শীথিলতা আনা হবে বলে জানানোর পরেই ই-কমার্স সংস্থাগুলো ফ্রিজ, মোবাইল, ল্যাপটপ মানুষের কাছে পৌঁছনো যাবে বলে জানায়। আর এরপরই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলেন, বাজারের দখল নিয়ে একেই সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোণঠাসা করে দিয়েছে এই অনলাইন সংস্থাগুলো। তারমধ্যে লকডাউনের সময় যদি তারাও সুবিধা পায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজি নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। এমনকি বিরোধী দল সহ বেশ কিছু সংগঠনের পক্ষ থেকেও ই-কমার্স সংস্থাগুলো যাতে সুবিধে না পায়, তার জন্য দাবি তোলা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সকল দিক বিবেচনা করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়ে ই-কমার্স সংস্থাগুলোকে চাপে ফেলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জারি করার পর বিরোধী সহ বিভিন্ন সংস্থা কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এর বিরোধিতা করেছে অ্যামাজনের মত সংস্থা। তাদের দাবি, ক্রেতার পাশাপাশি যে সমস্ত ছোট ব্যবসায়ী আমাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করেন, তারাও এর ফলে হতাশ হবেন।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, কেন্দ্র এই পদক্ষেপ নিয়ে ঠিকই করেছে। কেননা অনলাইন সংস্থাগুলোকে যদি বেশি মূল্যের জিনিস বিক্রি করতে দেওয়া হত, তাহলে যেমন ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকত, ঠিক তেমনই ছোট ব্যবসায়ীদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হত। সেদিক থেকে কিছুদিনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়াও অন্যান্য জিনিস বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্র কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!