এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বড় ধাক্কা শাসকদলের? হেভিওয়েট নেত্রীর ‘সম্মাননা’ ‘সবিনয়ে না-গ্রহণ’ প্রতিবাদী শিক্ষকের

বড় ধাক্কা শাসকদলের? হেভিওয়েট নেত্রীর ‘সম্মাননা’ ‘সবিনয়ে না-গ্রহণ’ প্রতিবাদী শিক্ষকের

গত ৫ ই সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরাসভর ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অনন্যা ব্যানার্জী তাঁর দুই প্রতিনিধিকে দিয়ে ‘কার্টুন-কাণ্ডে’ আপামর তৃণমূল কংগ্রেসির কাছে হঠাৎ করে ‘ভিলেন’ হয়ে যাওয়া অম্বিকেশ মহাপাত্রের বাড়িতে ফুলের স্তবক, উপহার ও সম্মাননাপত্র পাঠিয়ে দেন। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অম্বিকেশবাবু, তাই তা তাঁর পরিবারের কাছে দিয়ে আসা হয়।

এরপরের দিনই অম্বিকেশবাবু ‘সবিনয়ে ও সসম্মানে’ অনন্যাদেবীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁর ‘সম্মাননা না-গ্রহণের’ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। বিশেষ সূত্র মারফত আমরা খবর পাই যে, কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা ব্যানার্জী শিক্ষক দিবসের দিন ওই ওয়ার্ডের অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে অম্বিকেশবাবুকেও এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডাকলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই প্রসঙ্গে অম্বিকেশবাবুর সঙ্গে প্রিয় বন্ধু বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে, তিনি আমাদের স্পষ্ট জানান, এটি মোটেও সঠিক তথ্য নয় – আমাকে এইরূপ কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডাকা হয় নি। সুতরাং, সেখানে যাওয়া বা না যাওয়ার প্রশ্নটিই অবান্তর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অম্বিকেশবাবু আরো জানান, অনন্যাদেবী – যিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি শিক্ষক দিবসের দিন রাত্রে আমার বাড়িতে তাঁর দুজন প্রতিনিধির মাধ্যমে ফুলের স্তবক, উপহার ও সম্মাননাপত্র পাঠান। আমি তখন বাড়িতে ছিলাম না – থাকলে আমি তখনই তা গ্রহণ না করে তাঁদের মাধ্যমে ফেরত পাঠাতাম এবং আমার এই না-গ্রহণের সিদ্ধান্ত তাঁদের জানিয়ে দিতাম। কিন্তু, রাত্রে বাড়ি ফিরে এই ঘটনা জানতে পেরে আমি পরের দিন অনন্যাদেবীকে পত্র মারফত আমার এই না গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিই এবং সেখানেই বিশদে আমার এই না-গ্রহণের সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে দিই।

এরপর, তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা ব্যানার্জীর পাঠানো সম্মাননা পত্র ও তাঁর নিজের লেখা না-গ্রহণের সিদ্ধান্তের চিঠির কপি আমাদের হাতে তুলে দেন অম্বিকেশবাবু। আর তা সামনে আসার পর রীতিমত শোরগোল পরে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। আজকের পটভূমিকায় দাঁড়িয়ে অম্বিকেশবাবুর যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের দিকে স্পষ্ট আঙ্গুল তুললেন এবং তা আরো স্পষ্ট ভাষায় শাসকদলের জন-প্রতিনিধিকে জানিয়ে দিলেন সরকারিভাবে – তা কি আগামী দিনে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠদের আরো সুদৃঢ় করবে? আর তা যদি হয়, তাহলে কি অম্বিকেশবাবুর এই পদক্ষেপ কি শাসকদলের কাছে বড় ধাক্কা? প্রশ্নটা কিন্তু উঠেই গেল।

অম্বিকেশ মহাপাত্রের পাঠানো সেই ‘না-গ্রহণের’ চিঠি।
অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো সেই ‘সম্মাননা-পত্র’, যা পরে অম্বিকেশবাবু ‘না-গ্রহণের’ সিদ্ধান্ত নেন।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!