এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছাড় নেই অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনেরও! সুযোগ পেতেই বেচলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী! জোর শোরগোল

ছাড় নেই অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনেরও! সুযোগ পেতেই বেচলেন প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী! জোর শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকখনও সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা, আবার কখনও বা ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ, এই ধরনের অভিযোগ তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় চাপে পড়ে শোকজের রাস্তায় হাঁটে তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু এবার আর কোনো টাকা আত্মসাতের ঘটনা নয়, যে ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা রাজ্য, তা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। অভিযোগ, উত্তর 24 পরগনা জেলার বাগদা বিধানসভার হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস এবার আস্ত একটি অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রি করে দিয়েছেন। আর এই গোটা ঘটনায় যেমন ছিঃছিক্কার পড়ে গেছে এলাকায়, ঠিক তেমনই হতবাক হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এতদিন না হয় টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু যেভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রি করে দিলেন তৃনমূলের হেভিওয়েট নেত্রী, তাতে নিঃসন্দেহে চাঞ্চল্য বাড়ছে।

ইতিমধ্যেই ভয়াবহ অভিযোগ তুলে সেই চায়না বিশ্বাস এবং গ্যারেজের মালিক মুকুল সরকারের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ নিয়ে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি বিধায়ক দুলাল বর। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্যারেজ মালিক মুকুল সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের এমন কি দুর্দশা এল যে, তাকে এম্বুলেন্সের ইঞ্জিন পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের অভিযোগ, 15000 টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান চায়না বিশ্বাস এই ইঞ্জিন বিক্রি করে দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা আত্মসাতের পর যেভাবে বিজেপি পথে নেমেছিল, তাতে এই ঘটনার পর গেরুয়া শিবির যে আরও বেশি করে তৃণমূলকে চেপে ধরবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে এই ঘটনা সামনে আসার সাথে সাথেই বিজেপি বিধায়ক দুলাল বর বনগাঁ-বাগদা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

এদিন তিনি বলেন, “2019 এ বিধায়ক ফান্ড থেকে এলাকার গরিব মানুষের জন্য একটি মারুতি গাড়িকে অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতকে দেওয়া হয়। এতদিন ধরে ওই অ্যাম্বুলেন্স দিব্যি চলছিল। কিন্তু কিছুদিন আগেও অ্যাম্বুলেন্সে কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। এরপর সেই অ্যাম্বুলেন্সটি মুকুল সরকারের গ্যারেজে রাখা হয়েছিল। রবিবার সকালে গ্যারেজের মিস্ত্রি এম্বুলেন্সের ইঞ্জিন খুলে অন্য একটি গাড়িতে লাগানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। 15000 টাকার বিনিময়ে ইঞ্জিনটিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”

তবে বর্তমানে গ্যারেজের মালিক মুকুল সরকারকে গ্রেফতার করা হলেও, এখনও পর্যন্ত হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বাড়ছে চাঞ্চল্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা রাজ্যের বুকে এই ধরনের ঘটনা নজির হয়ে থাকল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল চেষ্টা করছে, নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার।

কিন্তু নেতা-নেত্রীদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে গিয়ে যেভাবে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন বিক্রির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, তাতে ঘাসফুল শিবির আরও চাপে পড়ল। কি এমন অভাব ছিল তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত প্রধানের, যার কারণে তাকে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হল? প্রশ্নটা তুলছেন জনসাধারণ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!