অশান্ত আমডাঙায় উত্তেজনা অব্যাহত, প্রাণ গেল আরেক তৃণমূল কর্মীর, চাপ কি বাড়ছে? নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য September 11, 2018 এ যেন মৃত্যু মিছিল চলছে উত্তর 24 পরগনায় আমডাঙায়। বোর্ড গঠনে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে দুদলের নেতাদের সংঘর্ষে অকালে প্রান হারাতে হচ্ছে নিচুতলার কর্মীদের। গত 29 আগষ্ট এই আমডাঙার ত্রিশঙ্কু তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের কথা থাকলে কার হাতে সেই বোর্ড থাকবে তা নিয়ে 28 আগষ্ট রাতে সেখানে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষন হয়। আর এই ঘটনায় এক সিপিএম কর্মী এবং দুই তৃনমূল কর্মী মারা যান। কিন্তু তা সত্তেও এই দুই দলের মধ্যে বোর্ড গঠন নিয়ে কুটকচালি কমেনি। আর এই কুটকচালির মাঝেই ফের এই আমডাঙার ঘটনায় মৃত্যু হল এক তৃনমূল কর্মীর। কিন্তু কিভাবে? তাহলে কি ফের অশান্ত হচ্ছে আমডাঙা? সূত্রের খবর, বিষয়টা ঠিক তেমন নয়। গত 28 আগষ্ট গন্ডগোলের সময় বড়গাছিয়া গ্রামের তৃনমূল কর্মী সাত্তার মন্ডলকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ে দুস্কৃতীরা। আর এরপর সেই তৃনমূল কর্মী বোমার আঘাতে মাটিতে পড়ে গেলে তাঁর শরীরে একাধিক কোপ মেরে তাঁকে বাশবাগানে ফেলে রেখে চম্পটদেয় দুস্কৃতীকারীরা। এদিকে অনেক খোঁজাখোজির পর 29 আগষ্ট সেই সাত্তার মোল্লাকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাসত এবং পরে কোলকাতার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে অবশেষে গতকাল রাত আড়াইটের সময় মৃত্যু হয় সেই তৃনমূল কর্মীর। বিকেলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যান জেলা তৃনমূলের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিকে এই তৃনমূল কর্মীরমৃত্যুর ঘটনায় ফের সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সিপিএম 15 দিন আগে থেকে এই গনহত্যার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে। আমাদের কর্মীদের ধরে ধরে মারা হচ্ছে। এর পেছনে বড় মাথা রয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে খুঁজে বের করা উচিত।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মৃনাল চক্রবর্তী বলেন, “একজন মারা গিয়েছেন আর তা নিয়ে তৃনমূল ফের আমাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে। প্রশাসনের এইসব দিক দেখা উচিত।” সব মিলিয়ে ফের এক তৃনমূলকর্মীর মৃত্যুতে নতুন করে অশান্তির আঁচ পাচ্ছে আমডাঙা। আপনার মতামত জানান -