এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমডাঙা অস্ত্র-সমস্যার সমাধানে বড়সড় ‘নির্দেশ’ উদ্বিগ্ন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের

আমডাঙা অস্ত্র-সমস্যার সমাধানে বড়সড় ‘নির্দেশ’ উদ্বিগ্ন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের


গত মঙ্গলবার বোমা ও গুলি বর্ষনে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী উত্তর 24 পরগনার আমডাঙা। ঘটনায় শাসকদলের দুই কর্মী প্রানও হারিয়েছেন। কিন্তু এরপরও অস্ত্রের ঝনঝনানি কমছে না এখানে। রোজই কোনো না কোনো অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ পাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন? কার মদতে জেলায় এই অস্ত্রকারখানা? ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃনমূলের সাথে সিপিএমের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়েছে রাজনীতি।

এতসবের মাঝে এবার সেই থমথমে আমডাঙার থানার সামনে আজ সভা করবে সিপিএম। যেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত থাকবেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য তথা সাংসদ মহম্মদ সেলিম। এদিন সেই প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন,” আমডাঙা যাচ্ছি। পুলিশকে বলব দুস্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তি ফেরান।” কিন্তু সোমবার সেই সিপিএমের সভা উপলক্ষে রবিবার উত্তর 24 পরগনার জেলা তৃনমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ” শুধু সেলিম কেন! বিমানবাবু, সূর্যবাবুও যান। শান্তিতে সভা করে নিরাপদে ফিরে আসুন।”

এখানেই অনেকের প্রশ্ন, যে হঠাৎ কেন নিরাপদে ফিরে আসার কথা বললেন খাদ্যমন্ত্রী? তাহলে কি এখন সেখানে গেলে সিপিএম নেতারা ফিরে আসতে পারবেন না? সেই প্রশ্নের জবাবে এদিন মন্ত্রী বলেন, “আমডাঙায় যে সিপিএম নেতারা অশান্তি ছড়াচ্ছে তাদের নিরস্ত্র করুক সেলিমরা।” এই অস্ত্রের কারবারি হিসেবে শাসনের মজিদ মাষ্টার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সিপিএমের জাকির বল্লুক এবং সাহাবুদ্দিন বলে জানান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

পাশাপাশি এই আমডাঙার অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশকে আরও বেশি সজাগ হতে বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয় এই আমডাঙায় অস্ত্র উদ্ধারে এদিন সেই অস্ত্রমজুত কারবারীদের উদ্দেশ্য করে জেলা তৃনমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “যাদের কাছে অস্ত্র রয়েছে তারা রাস্তায় অস্ত্র জমা রেখে দিন। পুলিশ তুলে নেবে।”

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এইখানেই তৃনমূলকে কটাক্ষ করে স্থানীয় এক সিপিএম নেতা বলেন, “আগে তৃনমূলের লোকজন রাস্তায় নিজেদের অস্ত্রগুলি রেখে যাক।” সব মিলিয়ে এখন আমডাঙাকে শান্ত করে শাসকদলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আবেদনে সাড়া দিয়ে আদৌ দুস্কৃতীরা রাস্তায় তাদের অস্ত্র রেখে যায় কি না সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!