আমডাঙা কাণ্ডে নতুন মোড় – মুর্শিদাবাদ ও শাসনের হার্মাদবাহিনী এখনো সক্রিয় বলে অভিযোগ রাজ্য September 2, 2018 ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছে তাঁরা। রাজ্যে সংগঠনের দশাও খুব একটা ভালো নয়। তবুও বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের সিপিএমের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই আমডাঙার তারাবেড়িয়ার বইছগাছি গ্রামে শাসক তৃনমূলের সাথে সিপিএমের গন্ডগোলে প্রান হারান এক সিপিএম ও দুই তৃনমূল কর্মী। আর এরপর থেকেই শাসকদল হোক বা স্থানীয় বাসিন্দা প্রত্যেকের মুখেই শোনা যাচ্ছে জনভিত্তি হারানো সিপিএমের প্রতি বীতশ্রদ্ধতার কথা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শাসনে এখন সিপিএমের আর অতটা দাপট নেই। মুর্শিদাবাদেও দলীয় সংগঠনের ভগ্নপ্রায় দশা। ফলে এখন আমডাঙায় বোমা এবং গুলি চালিয়ে শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করাই মূল লক্ষ বামেদের। সূত্রের খবর, গত শনিবারও এই আমডাঙার রতনপুরের এক সিপিএম কর্মী মহসিন আলির বাড়ির দুই ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই সেই অভিযুক্ত সিপিএম কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এদিকে এদিন এক গ্রামবাসীকে বোমা তৈরির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উত্তর আসে, ” এখানে সব ধরনের বোমা তৈরির কারিগর রয়েছে। কাঁচের টুকরো, বড়শির কাটা, পেরেক দিয়ে অনে বোমাই তৈরি করা হয়।” কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি থাকা সত্তেও আমডাঙায় এই বোমা গুলির বাড়বাড়ন্ত কেন?এই নিয়েও কিন্তু উঠেছে প্রশ্ন। এ প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃনমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “সিপিএমের হার্মাদরাই অস্ত্র এবং বোমা মজুত করছে।” ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে পাল্টা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এক তৃনমূল নেতার অনুগামীই এই আমডাঙায় হামলা চালিয়েছিল। সিপিএমের এখন বোমা ছোড়ার ক্ষমতা নেই তবে তীরধনুক ছুড়তে পারি।” সব মিলিয়ে সিপিএমের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সুভাষবাবুর কথাতেও সন্ত্রাসের সুরই ভেসে এল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -