এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আমডাঙার বিজেপি কর্মী খুনে নয়া মোর, গাড়ি আটকানো থেকে গ্রেফতার, চাঞ্চল্য রাজ্যে !

আমডাঙার বিজেপি কর্মী খুনে নয়া মোর, গাড়ি আটকানো থেকে গ্রেফতার, চাঞ্চল্য রাজ্যে !


সম্প্রতি উত্তর 24 পরগণা আমডাঙ্গায় দুই যুবককে খুনের ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়ায়। শুক্রবার রাতে তাসের আসরে সুমন্ত মন্ডল ও অনন্ত মন্ডল নামে দুই ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন পুলিশকর্মী সন্তোষ পাত্র। এই ঘটনাতেই এরপর লাগে রাজনৈতিক রঙ। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নিহত দুই কর্মী তাঁদের দলীয় কর্মী এবং সেই অপরাধে তাঁদেরকে খুন করা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দেখা করতে গেলে তিনি বাধা পান পুলিশের কাছ থেকে।

উত্তর 24 পরগনার আমডাঙার তেঁতুলিয়ার পঞ্চানন তলা এলাকাটি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে, তাই সাংসদ অর্জুন সিং ও ব্যারাকপুর বিজেপি জেলা সভাপতি উমাশঙ্কর সিং উপস্থিত হন এলাকায়। এরপর এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ পিছু হটে। শুরুতে তর্ক-বিতর্ক ঘটলেও পরবর্তীতে সাংসদ অর্জুন সিং ও উমাশঙ্কর সিং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেন। নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার কথাও বলে আসেন সাংসদ অর্জুন সিং।

অর্জুন সিং অভিযোগ করেন, নিহত দুই ব্যক্তি যেহেতু বিজেপি কর্মী ছিলেন, তার জন্যই তাঁদেরকে খুন হতে হয়েছে। অন্যদিকে, ভাটপাড়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি সোমনাথ শ্যাম জানান, ‘এটা নিছক পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। অর্জুন সিং ওখানে গিয়ে গণ্ডগোল বাধাতে চাইছিলেন তাই পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।’ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার পুলিশ অভিযুক্ত সন্তোষ পাত্রকে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত বতক্তি তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা স্বীকার করে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিশোধ নিতেই তিনি খুন করেছেন। এর সঙ্গে আর্থিক কোন বিষয় জড়িত নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে ওই পুলিশকর্মীর সার্ভিস রিভলবার যেটি খুনে ব্যবহৃত হয়, সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে বিধাননগরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিকের দেহরক্ষী সন্তোষ পাত্রের গুলিতে নিহত হন দুই ভাই সুমন্ত মন্ডল ও অনন্ত মন্ডল। এ বিষয়ে বারাসাতে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি থেকে পরিষ্কার দুই ভাই খুন হয়েছেন এবং অন্য একজন আহত হয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্তের রাগ ছিল সুমন্ত মন্ডল এর ওপর।

কারণ সুমন্ত অভিযুক্তের স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছিলেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যে বিভিন্ন কারণে রাজনৈতিক খুনোখুনির পরিমাণ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। করোনা সংকটকালেও সেভাবে রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ হতে দেখা যাচ্ছেনা। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, রাজ্যে যদি এভাবে রাজনৈতিক খুনোখুনি হতে থাকে, তাহলে পরিস্থিতি আগামী দিনে কিন্তু আরো ভয়ঙ্কর হবে। তাই এখন থেকে প্রশাসনের উচিত কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। আপাতত অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কি শাস্তি গৃহীত হয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!