‘তিন মাস কোনও রোজগার নেই সরকারের। এক টাকাও পাইনি করোনার জন্য’ বিস্ফোরক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য May 24, 2020 ঘূর্ণিঝড় আমফানে বাংলা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ।ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক জেলা ।শুক্রবার হেলিকপ্টারে সাইক্লোন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সব ঘুরে দেখেছি। বাংলার এই কঠিন সময়ে বাংলার পাশে থাকব। বাংলা যাতে আবার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তার জন্য ভারত সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।’ পশ্চিমবঙ্গকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন,’ ১০০০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ও আহতদের পরিবারকে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর মুখমন্ত্রী কিন্তু দাবি করেছিলেন যে, আমরা কিছু চায়নি, উনি ওই টাকা দেবেন বলেছেন ,তবে আমাদের ১ লক্ষ্য কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি টাকার পরিমান নিয়ে খুশি না খুশি নন তাও জানাননি। তবে কেন্দ্রের এই আর্থিক অনুদান যথেষ্ট নয় বলে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছেন। এবার এই একই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যাচ্ছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মহকুমাশাসকের দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তিন মাস কোনও রোজগার নেই সরকারের। এক টাকাও পাইনি করোনার জন্য। আমফানের জন্য কেন্দ্র থেকে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য এক লাখ কোটি টাকা লাগবে। যতটা পারব করব।’ মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমানে চার ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এমনিতেই কোভিডের মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের হাতে বেশি টাকা নেই। ফলে বড় কোন প্রজেক্ট হাতে নেওয়া যাবে না।’ এদিন বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম অপচয় করা যাবে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে যদি ১০০ কোটি টাকা থাকে তবে আমি একটা রাস্তা বানিয়ে তা খরচ করব না। সেই টাকা দিয়ে ৫০টা রাস্তা তৈরি করব।’ একই সঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, সামনেই বর্ষাকাল। সুতরাং, রাস্তা এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে বর্ষার সময়ে তা আবার ভেঙে না যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেচের কাজও এখনই শুরু করতে হবে। তবে এখনই বেশি খরচ করলে চলবে না। একের পর এক ধাক্কায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। এখন পয়সা খুবই ইমপর্টেন্ট। যেই রাস্তাটা জরুরি এখন সেটাই ঠিক করতে হবে পিডব্লুডিকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে বর্ষায় যেন আবার ভেঙে না যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজন পড়লে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুতের ভেঙে পড়া খুঁটি সারিয়ে বিদ্যুত্ সংযোগ নিয়ে আসতে হবে। স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা প্যাকেজ করা হোক। কারণ তাদের বই, খাতা ও ব্যাগ নষ্ট হয়েছে। সেগুলি বিনামূল্যে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। স্কুলের পোশাক নষ্ট হলে ব্যবস্থা করতে হবে। এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবেন জেলাশাসক।’ আপনার মতামত জানান -