এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপানেও কি কাটমানি? প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা মাথা চাপড়াচ্ছেন, পাকা বাড়ির মালিকরা টাকা পাচ্ছেন!

আমপানেও কি কাটমানি? প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা মাথা চাপড়াচ্ছেন, পাকা বাড়ির মালিকরা টাকা পাচ্ছেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুখে বলাই সার। বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে সেই টাকা পৌঁছে যাচ্ছে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের অনেক নেতা থেকে শুরু করে তাদের সহধর্মিণীর একাউন্টে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা চলে যাচ্ছে‌। যা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এভাবে ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানের তাণ্ডবে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের টাকাও কি করে শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা লুটে নিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

জানা গেছে, বাগদা ব্লকের হেলেঞ্চা এবং কেনিয়াড়ি 2 পঞ্চায়েত এলাকায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও, এই দুর্যোগে টাকা পেয়ে গিয়েছেন। যাদের পাকা বাড়ি আছে, তারাও বাড়ি তৈরীর টাকা পেয়েছেন। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা তৈরীর জন্য পঞ্চায়েতের প্রধান, বিরোধী দলনেতা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট থাকলেও সেখানে এত অনিয়ম কেন, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সোচ্চার হতে দেখা গেছে।

অবিলম্বে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদের নাম তালিকায় রেখে অর্থনৈতিক সাহায্য করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এমনকি এই ব্যাপারে বিডিওর কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছিল। যার ফলস্বরুপ প্রথম তালিকা বাতিল করে নতুন করে আবার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।

বর্তমানে সেই তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রথম তালিকা দেখা গিয়েছিল, এই দুই পঞ্চায়েতের অনেকেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের 20 হাজার টাকা ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তাদের অনেকেরই নাম নেই। এদিন এই প্রসঙ্গে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, “বিডিও নির্দেশ দিয়েছেন, সেই মত টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের প্রধান চায়না বিশ্বাস বলেন, “বিডিও নির্দেশ পেয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়েও যারা টাকা পেয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছি। পঞ্চায়েত সদস্যদের বলেছি, সকলকে জানিয়ে দিতে।” এদিকে এই ব্যাপারে কেনিয়ারি 2 পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির অনামিকা বিশ্বাস বলেন, “বিডিওর নির্দেশমত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে যারা টাকা পেয়েছেন, তাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছি। প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের নামের যে তালিকা দিয়েছিলেন, সেটাই জমা করা হয়েছিল।” একইভাবে এই ব্যাপারে সরব হতে দেখা গেছে বিজেপির বারাসাত সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তথা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অমৃতলাল বিশ্বাসকে।

অন্যদিকে দ্রুত যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পান, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান বাগদা বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান তরুণ ঘোষ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা এই ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু বিভিন্ন পঞ্চায়েতে দেখা গেছে, সেই পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে গেছে।

এই সাহায্যের টাকা তাদের দুতালা, তিনতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তারা যেভাবে সেই টাকা পেয়েছেন, তাতে তৃণমূল-বিজেপি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে এবার অতীতের সেই তালিকা বাতিল করে চাপে পড়েই কিছুটা নতুন তালিকা করতে বাধ্য হল প্রশাসন। এক্ষেত্রে নতুন তালিকাতেও প্রকৃত জনসাধারণ তাদের সুযোগ পান কিনা, এখন তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!