আমপান দুর্নীতি নিয়ে জমা পড়ল প্রায় ১৬০০ রিপোর্ট! মমতার শাস্তির কোপে একাধিক প্রভাবশালী? কলকাতা রাজ্য June 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি। বারবার দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে ত্রাণ নিয়ে কোনোরকম দুর্নীতি না হয়। তবে শাসকদলের নানা নেতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তোলা হলেও, তাকে মানতে নারাজ ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দুর্নীতি নিয়ে প্রায় 1600 টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। যেখানে প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আর প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এত অভিযোগ জমা পড়ার পরেই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে মানুষের কাছে সুবিধা পৌঁছে দিতে কোনোরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, তা তার তদন্ত প্রক্রিয়ায় নির্দেশ দেওয়াতেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই হুগলি, উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জেলায় বেশ কিছু পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের বহিস্কৃত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে ত্রাণ বিলিতে যাতে দুর্নীতি না হয়, তার জন্য ইতিমধ্যেই একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে পঞ্চায়েতের কর্তা, বিধায়ক, জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, বিডিও এবং স্থানীয় থানার আইসিরা রয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দলের পদাধিকারীদের দ্বারা দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসাতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাই প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ঘটনায় নিজের হাতেই রাশ রাখতে এবং দুর্নীতিকে বন্ধ করতে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে টিম গঠন করে মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন। তবে যেভাবে বর্তমানে যে সমস্ত তৃণমূল নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে চটজলদি ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই তৃণমূলের এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন সকলে। কেননা সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যদি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে, তাহলে শাসক দলকে অনেকটাই চাপে পড়তে হবে। তাই মানুষের দুর্দিনে মানুষকে যারা সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্যকে যেমন খন্ডন করছে শাসক দল, ঠিক তেমনই দলমত নির্বিশেষে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে বলে দাবি করছেন তৃণমূলের নেতারা। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বলেন, “সব অভিযোগ যাচাই করে দেখা হবে। রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করেছে, তা কোনোভাবেই আত্মসাৎ করতে দেওয়া হবে না।” সব মিলিয়ে এখন চাপে পড়েই যে তৃণমূল নেতাদের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রিপোর্ট জমা পড়ল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস, তা কার্যত পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে। এখন গোটা বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাড়ায়, দুর্নীতির রিপোর্ট জমা পড়ার পর প্রশাসনিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -