এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > আমপান দুর্নীতিতে নতুন অভিযোগ! নামমাত্র দামে বিক্রি দামী মেহগিনি! তৃণমূলের অন্দরেই শুরু ক্ষোভ

আমপান দুর্নীতিতে নতুন অভিযোগ! নামমাত্র দামে বিক্রি দামী মেহগিনি! তৃণমূলের অন্দরেই শুরু ক্ষোভ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগের পর সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা নিয়ে তৃণমূলের নানা নেতার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। কিন্তু এবার ভয়াবহ দুর্যোগের পর গাছ নিয়েও যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ উঠবে, তা সত্যিই কেউ কল্পণা করতে পারেনি। বনদপ্তরের ভাষায়, মেহগনি গাছ অত্যন্ত মূল্যবান। যার প্রতি কিউবিক মিটারে দাম 13 থেকে 16 হাজার টাকা। সেদিক থেকে 50 বছরের পুরনো একটি মেহগনি গাছের বর্তমান বাজার দর 60 হাজার টাকার মত হবে বলে দাবি করছেন সকলে।

কিন্তু তৃণমূলের হরিপালের আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সরকার দুর্যোগে ভেঙে পড়া মেহগনি, অর্জুন এবং শিরীষের মত 17 টি গাছ কি করে মাত্র 75 হাজার টাকায় বিক্রি করলেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যা শম্পা দাস ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান সুমিত সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের প্রশ্ন, যেখানে মেহগনির মত মূল্যবান গাছ প্রচুর টাকায় বিক্রি করার কথা, যেখানে সেখানে 17 টি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান গাছ কিভাবে এত অল্প দামে বিক্রি করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান! যদিও বা এই প্রসঙ্গে সেই সুমিত সরকার বলেন, “বিএমওএইচের নির্দেশমত স্পট স্টেন্ডার করে গাছ বিক্রি করি। সবকিছু বিধি অনুযায়ী করেছি। বিডিওকেও জানিয়েছিলাম।” কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন স্থানীয় বিডিও তপন হালদার?

এদিন তিনি বলেন, “প্রধান গাছ বিক্রি করে বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানান।” কিন্তু বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অবশ্য অন্য কথা বলা হচ্ছে‌। তাদের বক্তব্য, স্পট টেন্ডারে কয়েকজনকে ডেকে যিনি বেশি দামে বিক্রি দেবেন, তাকেই বিক্রি করা হয়। যদিও সরকারি ভাবে এমন টেন্ডার হয় না। সরকারি জায়গার কোনো গাছ কেউ নিজের মত ইচ্ছে করে কেটে বিক্রি করতে পারেন না। প্রথমে সরকারি জায়গাতেই তা সরিয়ে রাখতে হয়। বনদপ্তরকে জানাতে হয়। সেই মত অফিসারেরা গিয়ে সেই গাছের মাপ নিয়ে দাম নির্ধারণ করেন। তারপরে টেন্ডার করে যে সব থেকে বেশি দাম দেবেন, তাকে গাছ দেওয়াটাই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এখানেই একাংশের প্রশ্ন এক্ষেত্রে যদি তা হত, তাহলে কেন বন দপ্তরের আধিকারিকদের ডাকা হল না? কেন প্রশাসন জানানো হল না গাছ বিক্রির ঘটনা? কেন এত কম দামে বিক্রি করে দেওয়া হল মূল্যবান গাছ! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসনের একাংশ। সব মিলিয়ে ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির পর গাছ বিক্রি নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!