এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপান দুর্নীতিতে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়? ৯০%-ই ভুয়ো আবেদন হওয়াতে ঘুম উড়তে চলেছে প্রশাসনের?

আমপান দুর্নীতিতে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়? ৯০%-ই ভুয়ো আবেদন হওয়াতে ঘুম উড়তে চলেছে প্রশাসনের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ভয়াবহ দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের নিকটাত্মীয়দের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন বলে ওঠা অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু প্রায় 90% ভুয়ো আবেদনপত্র যে এই ঘটনায় জমা পড়বে, তা সত্যিই স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি কেউ। সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এভাবে নিকটাত্মীয়দের যে টাকা পাইয়ে দিতে শুরু করবেন, তাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, আবেদনকারীর সংখ্যা 10 হাজারের বেশি হলেও, তার মধ্যে 90% আবেদনপত্র জমা পড়েছে। যা খতিয়ে দেখতে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হাওড়ার উলুবেড়িয়া 1 ব্লক প্রশাসনের। বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া সত্ত্বেও অনেকে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। যার ফলে প্রকৃত উপভোক্তারা কার্যত বঞ্চিত হয়েছেন‌। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই ব্যাপারে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে নয়া তালিকা জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো দুর্নীতির ঘটনা সামনে এলেও যেভাবে 90% ভুয়ো আবেদনপত্র জমা পড়ার ঘটনা সামনে এল, তাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। জানা গেছে জয়নগর গ্রামের অমরেশ ঘোষ সিভিক ভলেন্টিয়ার পেশার সঙ্গে যুক্ত তার দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে রান্নাঘরের উপর সামান্য একটি গাছ পড়ে কয়েকটা টালি ভেঙে পড়েছে কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি আবেদন করেছেন। এমনকি তার মায়ের নামে টাকাও চলে এসেছে। অন্যদিকে দিকে চন্ডিপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য শংকর মাইতির সামান্য ক্ষতি হলেও, তিনি ক্ষতিপূরণের তালিকা নাম উঠিয়ে নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে রাঘববোয়ালরা ক্ষতি পূরণের তালিকা টাকা পাওয়ার জন্য তাদের নাম উঠিয়ে নেওয়ায় সাধারণ প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা যে বঞ্চিত, তা কার্যত পরিষ্কার। জানা গেছে, পাঁচলা পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছেন, তার এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থদের যে তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে 80% নাম ভুয়ো রয়েছে। ফলে রীতিমত ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা পাওয়া নিয়ে চাঞ্চল্য এবং দুর্নীতি বাড়তে শুরু করেছে।

একাংশ বলছেন, খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়ে কেউ যেন কোনো দুর্নীতি না করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিচুতলার অনেক জনপ্রতিনিধিদের কানে এই বার্তা পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে বাড়ছে বিড়ম্বনা। এবার উলুবেড়িয়াতে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়া নিয়ে 90 শতাংশ আবেদনপত্র জমা পড়ল, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিডিও কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, “আবেদনের নিরিখে সরেজমিনে টাস্কফোর্স তদন্ত করেছিল। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের নামই তালিকায় থাকবে। তা 10 থেকে 15 শতাংশ।” তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, যেভাবে প্রভাবশালীরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করছেন এবং তার পরিমাণ যেভাবে দিনকে দিন বাড়তে শুরু করেছে, তাতে দুর্নীতি যে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন প্রশাসনের শীর্ষ মহল থেকে এই ব্যাপারে কোন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা, কতটা ক্ষতিপূরণের টাকা প্রকৃত বিধ্বস্ত মানুষগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!