এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আম্ফানের থেকেও ভয়ানক হতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বাংলায়

আম্ফানের থেকেও ভয়ানক হতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনতে পারে বাংলায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্ফানের থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ। বুধবার দিঘার উপকূলে যশ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বুধবার বিকেলে উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলার বিচিত্রপুরে যশ আছড়ে পড়বে। তারপর তা এগিয়ে আসবে বাংলার দিকে। কিন্তু সম্প্রতি আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিকেল নয় বুধবার সকাল দশটা থেকে একটার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে যশ। পারাদ্বীপ থেকে দিঘার মধ্যে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এখন আন্দামানের প্লোট বেয়ার থেকে প্রায় ৬০০ কিমি দূরে রয়েছে যশ, দীঘা থেকে প্রায় ৬৩০ কিমি দূরে রয়েছে যশ। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে যশ। পারাদ্বীপ ও দিঘার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে যশের। প্রবল আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে নিয়ে, এরপর আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামকে নিয়ে। যশ এর হাত থেকে রেহাই মিলবে না কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার। উড়িষ্যা রাজ্যেরও যথেষ্ট ক্ষতি হবার আশঙ্কা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আশঙ্কা করা হচ্ছে, ১৬৫ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে আছড়ে পড়তে পারে যশ। কিন্তু ঝড়ের গতি যদি আরো বৃদ্ধি পায়, তবে তা ১৮০ কিমি বেগেও আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে তা আম্ফানের থেকেও বেশি ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। নদীর বাঁধ ভেঙে পড়বে, ঘর বাড়ি সমস্ত কিছু ধ্বংস হবে, চাষের জমি নষ্ট হবে, প্রাণসংশয় ঘটার আশঙ্কাও আছে। অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে। ৭ থেকে 8 ফুট উচ্চতাতে উঠে যাবে সমুদ্রের জল। সেই জল ঢুকে পড়বে গ্রামের ভেতরে।

তবে শেষ মুহূর্তে যদি ঝড় বাক নেয়, তবে সে ক্ষেত্রে রেহাই পেতে পারে বাংলা। তবে ঝড় যদি বাঁক নেয় তবে ওড়িশার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। উড়িষ্যার কটক, বালেশ্বর, ভদ্রক, ময়ূরভঞ্জ, পুরী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঝড়ের আশঙ্কাতে দিঘার উপকূলে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। কাল রাতে দিঘায় বৃষ্টি হয়েছিল। সে সঙ্গে ছিল ঝড়ো বাতাস। তবে এখন দিঘার পরিবেশ শান্ত। দিঘা ও বকখালি পর্যটক শূন্য করে দেয়া হয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!