এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রায় ২ হাজার কোটি কেন্দ্রের সাহায্য পেয়েও অমিত মিত্রের ক্ষোভ – প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য!

প্রায় ২ হাজার কোটি কেন্দ্রের সাহায্য পেয়েও অমিত মিত্রের ক্ষোভ – প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য!


বরাবরই রাজ্যের অভিযোগ কেন্দ্রের প্রতি, যে তাঁরা রাজ্যকে বঞ্চনার মুখে ঠেলে দেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে আতঙ্কের ছায়া। সেই আতঙ্কের ছায়া এসে পড়েছে এই রাজ্যেও। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের সামনে দাঁড়িয়ে তা মোকাবিলা করার জন্য রাজ্যের প্রয়োজন অর্থের। কিন্তু এই দুঃসময়ে কেন্দ্র রাজ্যকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি করোনার জেরে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতি রীতিমতো খাদের ধারে দাঁড়িয়ে।

সেই অবস্থা সামাল দিতে গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী রাজস্ব ঘাটতি খাতে চৌদ্দটি রাজ্যকে 1727 কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি দিয়ে তাঁর ক্ষোভ জানালেন। অমিত মিত্র তাঁর চিঠির মাধ্যমে যে বক্তব্য পেশ করেছেন তা হল, এই মুহূর্তে দেশ তথা রাজ্য জুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রভাবে তীব্র অর্থ সংকটের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এই অবস্থায় করোনা সংকট মোকাবিলার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, তার জায়গায় কেন্দ্র যে অর্থ বরাদ্দ করেছে তা খুবই সামান্য। এরপর কেন্দ্রের সামান্য অর্থ বরাদ্দ সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। জানা গেছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী চলতি আর্থিক বছরে রাজস্ব ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলার প্রাপ্য অর্থ হলো 5013 কোটি টাকা। রাজ্যের দাবি ছিল, এপ্রিল মে এবং জুন এই তিন মাসে 5013 কোটি টাকাকে তিন ভাগে ভাগ করে দেবার জন্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠিতে অমিত মিত্র আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আমরা এটা দেখে উদ্বিগ্ন যে কেন্দ্র এপ্রিল মাসের জন্য রুটিন মাফিক মাত্র ৪১৭ কোটি বরাদ্দ করেছে। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের কারণে যে অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হয়নি। এটা শুধু উদ্বেগের নয়, হতাশারও।’ রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ও এর আগে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, রাজস্ব ঘাটতি যেন 3% থেকে কমিয়ে 5% করা হয়। আবারও রাজ‍্য অর্থমন্ত্রী একই বিষয় উত্থাপন করেছেন তাঁর চিঠিতে বলে জানা গেছে।

এছাড়াও রাজ্য অর্থমন্ত্রী কনসোলিডেটেড সিঙ্কিং ফান্ডের ওপর জমা সুদের টাকা খরচা করতে চেয়েও আবেদন জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছেন, পণ্য পরিষেবা কর খাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা যেন রাজ্যকে দ্রুত দিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোট 923 কোটি টাকা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করার জন্যেও রাজ্যের প্রথম কিস্তির টাকা বাবদ 505 কোটি 50 লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।

সেই সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ 417 কোটি টাকাও যুক্ত ছিল। এই মুহূর্তে রাজ্যের সাথে সাথে কেন্দ্রেরও আর্থিক অবস্থা বেহাল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, তার মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে করোনা মোকাবিলার জন্য এবং বিভিন্ন খাতে অর্থ সাহায্য করে চলেছেন। তবে রাজ্য অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আলাদা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় কিনা, সে দিকেই লক্ষ্য এখন বিশেষজ্ঞদের। করোনা সংকট কাটতে যে এখনও বহু দেরী তা একপ্রকার নিশ্চিত করে বলা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!