অমিত শাহ বাংলা ছাড়তেই হেভিওয়েট বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে! একুশের আগে আরও জমজমাট রাজ্য রাজনীতি কংগ্রেস তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য November 7, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাং-কংগ্রেস জোটবদ্ধ হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা জোর ধাক্কা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে ছিল। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। এরপর গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাম, কংগ্রেস প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়। এরপর মূলত নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই জোট বেঁধেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে, জোটের পক্ষ থেকে বারবার প্রচার করা হচ্ছে যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জোট একটি বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। জোটই পারবে, শাসকদল তৃণমূলকে উচ্ছেদ করতে ও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির উত্থান রুদ্ধ করতে। বাম-কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে, মেরুকরণের রাজনীতি ছেড়ে তারাই বাংলায় নতুন দিন আনতে পারবে। কিন্তু তাদের এই দাবির মাঝেই বহু বাম- কংগ্রেস নেতা, বিধায়ক তাদের শিবিরে ছেড়ে যোগদান করেছেন শাসক দল তৃণমূলে। বাম-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা এই বাম কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন যে, মূলত মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা, রাজ্যে শান্তি- শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সেইসঙ্গে বিজেপিকে রোধ করার লক্ষ্য নিয়ে দল বদল করছেন তাঁরা। এবার একরকম কিছু উদ্যেশ্য নিয়েই দল বদলালেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়ার কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুল রহিম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সফর শেষে আবারও বড় ধাক্কা বাম-কংগ্রেস জোটে। কলকাতার তপসিয়ার তৃণমূল ভবনে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ভুক্ত হলেন কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুল রহিম। তাঁর এই পদক্ষেপের কারণে যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হলো বাম কংগ্রেস নেতৃত্বকে। কারণ, তিনি গত ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাদুড়িয়া থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন ও নির্বাচনে জয়লাভও করেছিলেন। তাই এবারও তাঁকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোট প্রার্থী করা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। তার মাঝেই তাঁর এই দল বদল। যার ফলে প্রমাদ গুনতে হলো দলকে। অন্যদিকে, বাদুড়িয়া কংগ্রেসের শক্তিশালী গড় হিসেবে পরিচিত। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই বাদুড়িয়াতে বহুবার জয়ী হতে দেখা গেছে কংগ্রেসকে। এখানে যতবার বাম জিতেছে, তার চেয়ে দ্বিগুণ বার বিজয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুল রহিমের এই অকস্মাত্ দলবদলের ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাদুড়িয়া কংগ্রেস ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হল। হেভিওয়েট বিধানের তৃণমূলে যোগদানের ফলে, বাদুড়িয়াতে আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের একটা সম্ভাবনা তৈরি হল। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলবদল এর কারণ হিসেবে তিনি জানালেন যে, মূলত, বিজেপিকে রোধ করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই তাঁর এই দলবদলের সিদ্ধান্ত। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল। তিনি আরো জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বহু সম্মান লাভ করেছে বাংলা। অন্যান্য রাজ্যগুলি যখন করোনার হানায় ও বিজেপির অপশাসনে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, তখন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে দেশের মধ্যে ক্রমশ শক্তিশালী ও উন্নত রাজ্য হিসেবে উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গ। তিনি দাবি করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীই পারেন বাংলাকে বুক দিয়ে আগলে রাখতে। বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই লড়াই করতে চান তিনি। একারণেই তৃণমূলে এলেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের পরেই কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট তৃণমূল দলে যোগ দেওয়ায় শোরগোল পড়ে গেল রাজ্য রাজনীতিতে। বাম কংগ্রেসের একাধিক দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে তৃণমূল দলভুক্ত হয়ে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে শক্তি বৃদ্ধি করলেন তৃণমূলের, কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট বিধায়ক। আপনার মতামত জানান -