এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহের পাঠানো বিশেষ দল এসে বাংলার কোনায়-কোনায় খুঁজছে অশান্তির ছবি! রেগে কাঁই মমতা!

অমিত শাহের পাঠানো বিশেষ দল এসে বাংলার কোনায়-কোনায় খুঁজছে অশান্তির ছবি! রেগে কাঁই মমতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের নানা স্থান থেকে বারবার রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, বেছে বেছে তাদের কর্মীদের মারধর, হত্যা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হচ্ছে। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক বিশেষ প্রতিনিধি দলকে রাজ্যে পাঠান হয়, রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলে। এবার এই বিষয়ে কেন্দ্রকে কঠোরভাবে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নির্বাচনের পরবর্তীতে রাজ্যের নানা স্থান থেকে বারবার অশান্তির খবর এসেছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে কোন কিছুই হয়নি। রাজ্য শান্তই আছে। তাঁর কথায়, বিপুল জনসমর্থন নিয়ে একটা সরকার ক্ষমতায় আসার পর, শপথ গ্রহণের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নুন্যতম সৌজন্যবোধ নিয়েও তিনি প্রশ্ন করেছেন। তিনি জানালেন, বহুমত নিয়ে একটা সরকার এসেছে, আইন-শৃঙ্খলা হলো একটি রাজ্যের বিষয়। কেন্দ্রীয় দল উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে তাঁরা কেন যাচ্ছেন? প্রশ্ন করেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তৃণমূলের কর্মীদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কেন যায়নি? কেন এসইউসিআইয়ের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যায়নি? তৃণমূলের কর্মীদেরও যেখানে মৃত্যু হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, সরকারের জয় যারা মেনে নিতে পারেন না, তারাই মিথ্যে ভিডিও ছড়িয়ে থাকেন। কোথাও গণহত্যা হয়েছে, তিনি দেখতে পাননি। একমাত্র শীতলকুচিতে গণহত্যা হয়েছে। সেখানে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ত্রিপুরাতে যখন অশান্তি হয়েছিল, তখন কি কাউকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছিল? সেখানে মার্কস, লেনিনের মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। হাথরাসে নির্যাতন ঘটেছিল। কিন্তু কাউকে কি সাহায্য দেওয়া হয়েছিল? তবে, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত পরিবারের একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। রাজবংশী যুবকের পরিবারের এক সদস্যকেও চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের বলরামপুরের এক ব্যক্তিকেও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বিজেপির আইটি সেল ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও দাঙ্গা করতে দেয়া হবে না। রাজ্যের মানুষের কাছে তাঁরা কৃতজ্ঞ আছেন। তাঁদের এই জয় বাংলার মানুষের জয়। মানুষের এই রায় হল উন্নয়ন, শান্তি,সম্প্রীতি, সভ্যতা,সংস্কৃতি, সকলে মিলে একসঙ্গে থাকার বার্তা। বাংলা সম্প্রীতি চায়, কখনোই বিভেদ চায়না, তাঁরা বাংলাকে দখল করতে দেবেন না।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বারবার হিংসাত্মক ঘটনার অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর পক্ষ থেকে রাজ্যকে কড়া বার্তা দেয়া হয়েছিল। এরপর এই রাজ্যে পাঠানো হয় বিশেষ প্রতিনিধি দলকে। এই প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছে। রাজ্যপালও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে বারবার সতর্ক করেছেন। এবার, এ বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, বাংলায় শান্তি আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো বিশেষ প্রতিনিধি দল অকারণেই রাজ্যে এসেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!