এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অমিত শাহের সফরের মাঝেই ফের প্রশান্ত কিশোরকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের, জোর জল্পনা রাজ্যে

অমিত শাহের সফরের মাঝেই ফের প্রশান্ত কিশোরকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের, জোর জল্পনা রাজ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে এসে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতী একাধিক বিষেদাগার করেছেন তিনি। এদিকে গতকাল রাতে দলের প্রতি কিছুটা বিক্ষুব্ধ সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে ভোট কুশলী পিকের বৈঠক চলেছিল। এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূলের অন্তরে নানা প্রশ্ন, নানা জল্পনা ছিল। বিরোধী শিবির থেকেও একাধিক কটাক্ষ এসেছিল। আজ শুক্রবার সকালে পিকের বিরুদ্ধেই বিষেদাগার উঠে এলো জনৈক তৃণমূল বিধায়কের ফেসবুক পোস্টে।

প্রসঙ্গত কোচবিহার দক্ষিনের তৃণমূল সাংসদ মিহির গোস্বামী দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বেশ কিছুটা সময় থেকেই। কিছুদিন আগেই মিহির বাবুকে সাক্ষাৎ করতে দেখা গিয়েছিল কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে। কিন্তু তার ঠিক পরদিন দুই তৃণমূল মন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, তাঁর দেখা পাননি। যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল।

এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে ফেসবুক পোস্টে মিহির বাবুকে লিখতে দেখা গেল, ” আজ যখন দেখছি দিদির দলে কোনও ঠিকাদার থিঙ্কট্যাঙ্ক কোম্পানি ঢুকে পড়ে তছনছ করে দিচ্ছে ঘরবাড়ি, অপমানিত জনপ্রতিনিধিরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, অথচ দিদি অন্তরালে নির্বিকার, তা হলে সেই ঘরবাড়ির মতোই দিদির প্রতি এত দিনের সব আস্থা ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়? ”

অনেকে মনে করছেন , মিহির বাবু তাঁর এই ফেসবুক পোস্টে সরব হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর ও আইপ্যাক টিমের বিরুদ্ধে। অনেকের মতে, তৃণমূল দলের অন্তরীণ বিষয় নিয়ে পিকে যেভাবে হস্তক্ষেপ করছেন, তাতে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী। ইতিপূর্বে অনেকে বলেছিলেন যে, পেশাদারী সংস্থা যদি রাজনৈতিক দলের কৌশল নির্ধারণ করে দেয়, তাহলে রাজনৈতিক দলে রাজনীতিবিদদের কি কাজ থাকে? এই ঘটনাকে রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার বলেও অনেক কটাক্ষ করেছিলেন। তবে, এতদিন এ বিষয়ে কোনো সমালোচনা করতে দেখা যায়নি কাউকে। যা প্রথম করলেন মিহির বাবু। তাঁর বক্তব্যে দুটি বিষয় পরিষ্কার। যা হলো, আইপ্যাক সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, মিহির বাবুর এই ক্ষোভ দলের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। কারণ, দলের মধ্যে সবাইকে খুশি করে চলা কখনোই সম্ভব নয়। অনেকেই অতৃপ্ত থেকে যান। অনেকেই অভিযোগ তোলেন যে, পাওনার তুলনায় কম পেয়েছেন তিনি।এবার পিকের বিরুদ্ধে মিহিরবাবুর প্রতিবাদের পর, আরও অনেকে পিকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক এর সময়ে দুর্গাপুরের মেয়রের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” এখন তো আবার কাউকে কিছু বলা যাবে না। বললেই অন্য দলে চলে যাওয়ার নতুন ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে। ”

অনেকে মনে করছেন দলে এমন কোন ট্রেন্ড সত্যিই তৈরি হতে পারে, বা তৈরি হয়ে গেছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ দলের এক দাপুটে নেতা রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বারবার ক্ষুরধার বক্তব্য রাখতে শুরু করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত বাংলার রাজনীতি। অনেকে ধারণা করছেন, এই নেতাকে সঙ্গ দিতে চলেছেন মিহির বাবুর মত বিধায়কেরা। আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের ফাটল আরো বৃদ্ধি পাবে কিনা সে বিষয়ে জল্পনা রয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কিছু বিধায়ক, নেতা বিজেপিতে দিতে পারেন বলে, সম্ভাবনার কথা উস্কে দিচ্ছেন অনেক বিজেপি নেতারা। আবার কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানও এরকম কথা বলেছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দলকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিতেই রাজ্যে তলব করা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরকে। দলের সাংগঠনিক ভিত্তিকে মজবুত করতে বহু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি । এখন প্রশান্ত কিশোর এর উপরেই বিধায়ক অনাস্থা প্রকাশ করায় প্রবল অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!