এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > অমিত শাহ সভা চলাকালীন প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, প্রাক্তন সভাপতি পারবেন সামাল দিতে ? উঠছে প্রশ্ন!

অমিত শাহ সভা চলাকালীন প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল, প্রাক্তন সভাপতি পারবেন সামাল দিতে ? উঠছে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ক্রমাগত অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির। শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বও বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে, অনেক সময় দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। গতকাল খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাঁকুড়ায় থাকাকালীন বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কুশপুত্তলিকা দাহ করতে দেখা গেল বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীকে। যে ঘটনা নিয়ে শোরগোল পরে গেলো জেলাজুড়ে।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাঁকুড়া জেলাতে সভা চলাকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এই জেলার দুজন বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার ও সৌমিত্র খাঁ প্রমুখের নামে জিন্দাবাদ ধ্বনি দিতে দিতেই বাঁকুড়া বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কুশপুত্তলিকা দাহ করতে দেখা গেল বেশ কিছু অভিমানী বিজেপি কর্মীদের। বিক্ষুব্ধ এই বিজেপি কর্মীরা জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বরের কাছে কুশপুতুল দাহ করা হলো বিজেপির জেলা সভাপতির। বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেছেন যে, জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে দল পরিচালনা করছেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা ব্যক্তিদের অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তাদেরকে দলে মন্ডলের সভাপতির পদ দেয়া হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র নিজে একজন প্রাথমিক শিক্ষক হয়েও, তিনি স্কুলে উপস্থিত না হয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে দল চালাচ্ছেন।

এছাড়াও বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেছেন যে, গত ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পূর্বে বিজেপি কর্মী অজিত মুর্মুকে হত্যার মূল চক্রীকে রানীবাঁধের এক মন্ডলের সভাপতি করা হয়েছে। নিজের নাম গোপন রেখেই ইন্দ্রপুর মণ্ডলের জনৈক বিজেপি কর্মী জানালেন যে, জেলা সভাপতিকে তার পদ থেকে অপসারিত করতেই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগকে অস্বীকার করতে দেখা গেল বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রকে। তাঁর দাবি, যারা এই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তারা কেউ বিজেপির লোক নন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিতিতে তৃণমূলের লোকেরা অত্যন্ত ভীত হয়েই বিজেপি সেজে এমন সমস্ত কাজ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, তিন দিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সফরে এসেই তিনি শোরগোল ফেলে দিলেন বাংলা রাজনীতিতে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি বারবার বিষেদাগার করলেন তিনি। তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রাজ্যবাসী রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলার মধ্যে দিয়েই বঙ্গ সফর শুরু হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। গতকাল বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী তিনি গিয়েছিলেন চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি। সেখানে তিনি খাওয়া-দাওয়া সেরে ছিলেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ” আজ আমি কেবল বিজেপির সাংগঠনিক সভায় যাচ্ছিলাম। তবে আমি এখানে যে ধরনের পরিবেশ দেখেছি, সেখান থেকে আমি অনুভব করি যে, বাংলার মানুষ নির্বাচন এবং পরিবর্তনের জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দলের নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বঙ্গ সফর। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার দাবি করে তিনি দলের কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে বার বার ভাবতে হচ্ছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই গোষ্ঠীকোন্দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সামাল দিতে পারবেন তো? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা চলাকালীন প্রকাশ্যে জেলা সভাপতির কুশপুতুল দাহ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে জেলার রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!