প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি বিজেপির, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির বিপর্যয়ের পর কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টুইট করা ছাড়া আর কোথাও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিকে ময়দানে দেখা গেলেও, খোঁজ মিলছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামে মিসিং ডায়েরি করতে দেখা গিয়েছিল দিল্লিতে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনকে। এবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নামে করা হলো মিসিং ডায়েরি।

গতকাল দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামে এক মিসিং ডায়েরি করেছিল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া। এই সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক নাগেশ কারিয়াপ্পা গতকাল জানিয়েছিলেন যে, দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে বেপাত্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি প্রশ্ন করেছিল, অমিত শাহ কি শুধু বিজেপির নেতা? নাকি তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তাঁরা সরকারের কাছে উত্তর চাইছেন যে, দেশের করোনা পরিস্থিতির সময়ে কেন হারিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? দেশজুড়ে যখন করোনা সংক্রমণ তীব্র হতে শুরু করেছে। সেসময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এভাবে লুকিয়ে থাকতে পারেন না। এজন্য তাঁরা মিসিং ডায়েরি করেছেন। যাতে পুলিশ খুঁজে বের করে আনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

এরপর আজ দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নামে মিসিং ডায়েরি করা হলো ভবানীপুর থানায়। দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা অভিরূপ মুখার্জি এ প্রসঙ্গে জানান, কিছুদিন আগেও নিয়মিত ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এখনো হঠাৎ করে তিনি বেপাত্তা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা এ বিষয় নিয়ে চিন্তায়, উদ্বেগে আছেন। পুলিশকে তাই তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর সঙ্গে সঙ্গেই অভিরূপ মুখার্জি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে দেবার জন্য একমাত্র দায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোটের প্রচারের সময় বারবার তিনি রাজ্যে এসেছেন। তিনিই রাজ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাইরে থেকে তিনি রাজ্যে করোনা নিয়ে এসেছেন। প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণে বিজেপি যখন যথেষ্ট কোণঠাসা, সেসময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতেই এমন উদ্যোগ নিল কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন ও পরবর্তীতে তৃণমূল ছাত্র সংগঠন। এবার কেন্দ্র কি জবাব দেয়? সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের।