এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বিজেপির অমিত শাহের চমককে মাত দিতে এবার নয়া পন্থা নিল তৃণমূল

বিজেপির অমিত শাহের চমককে মাত দিতে এবার নয়া পন্থা নিল তৃণমূল


লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপির কর্মসূচি খতিয়ে দেখতে দুদিনের বঙ্গ সফরে আসছেন জাতীয় পদ্মবাহিনীর সেনাপতি অমিত শাহ। পুরুলিয়ার উপকন্ঠে তাঁর জনসভায় লাখ খানেক আমজনতাকে জমায়েত করার টার্গেট করেছেন জেলাবিজেপি কর্তারা। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসায় রাজ্যের শাসকশিবিরে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। কিছু দিন আগে হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনই সে প্রমাণ দিচ্ছে। আর এটাই রাতের ঘুম কাড়ছে ঘাসফুল কর্তাদের। তাই এবার অমিত শাহের বঙ্গ সফরের মরশুমে জনসভায় লোক জমায়েত করার কর্মসূচিতে পুরুলিয়া জেলার বিজেপিশিবিরকে টেক্কা দিতে মরিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। জানা যাচ্ছে, বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতির জনসভার ঠিক দুদিন পরে একই ময়দানে( শিমুলিয়া ফুটবল মাঠে) ২ লক্ষ মানুষ জমায়েত করে জনসভা করার ছক কষেছে ঘাসফুল শিবির।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, তৃণমূল আয়োজিত সভায় উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী,পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,শিশু ও নারী কল্যান মন্ত্রী শশী পাঁজা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো,অনগ্রসর শ্রেনি কল্যান দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারাণি টুডু,তৃণমূলের আদিবাসী নেতা,প্রাক্তন মন্ত্রী তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদার মতো তৃণমূলের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বরা।এদিন শহরের একটি হোটেলে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা বৈঠক করে জনসভায় ২ লাখ মানুষ(বিজেপির জনসভার ডবল্ মানুষ) জমায়েত করাকে পাখির চোখ করলেন।

আসলে,বিজেপিকে তাঁরা লোকসভা ভোটের আগে এই বার্তা দিতে চান যে পশ্চিমবঙ্গে একটা রাজনৈতিক দলেরই হুকুম চলে, তা হল তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকটি আসনে জিতে বিজেপি যেন এটা না মনে করে যে তাঁরা বঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে টেক্কা দিতে পারবে। বিজেপির জয়ের স্বপ্ন আসলে ঠুনকো। সাবেক মানভূম এলাকায় ধর্ম আর অস্ত্র দিয়ে কোনো রাজনীতি হয় না। এখানে গণতন্ত্রই শেষ কথা। আর সাধারণ মানুষ পুরুলিয়ায় মানুষ তৃণমূল ছাড়া আরো কাউকে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছে না। এমনটাই সদর্পে ঘোষণা করলেন এদিন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। এছাড়া বৈঠকে হাজির জেলা নেতৃত্বদের সাফ জানিয়ে দিলেন যে, প্রতিটি অঞ্চল থেকে ওই জনসভায় ব্যাপক হারে লোক জমায়েত করতে। প্রয়োজন হলে বাস ভাড়া করে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক নিয়ে আসতে হবে।

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে,ইতিমধ্যেই গ্রামে গ্রামে মিটিং করে জনসভার প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে জেলা তৃণমূল কর্তৃপক্ষরা। এমনকি নির্দেশও দেওয়া হয়েছে যে, আগামী ৩০ জুন জেলায় হুল দিবসও পালিত হবে এবং সেইসঙ্গে ৩০ জুলাইয়ের প্রস্তুতি কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে এখন থেকেই। এই উদ্দেশ্য জেলার কোনায় কোনায় লাগানো হচ্ছে ফেস্টুন,হোডিং। মাইকও লাগানো হচ্ছে জেলার সর্বত্র। গত সপ্তাহে প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রও ওই সভার আভাস দিয়েছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!