গুড়-বাতাসার পাল্টা দিতে গুড়-ছোলার গেরুয়া দাওয়ায়? অমিত শাহের সভা ঘিরে তুঙ্গে উন্মাদনা জাতীয় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 28, 2018 বঙ্গ সফরে এসেই চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন সর্ব ভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। পর পর রয়েছে বেশ অনেক গুলো কর্মসূচি। তার মধ্যে আজই সেই বহু তাৎপর্যময় পুরুলিয়ার জনসভার দিন। কার্যত আজকের সভা থেকেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজাতে চলেছে পদ্মশিবির। এই জনসভা হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই সাজো সাজো রবে মেতে উঠেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব তথা কর্মী এবং সমর্থকরা। অমিত শাহের সামনে বঙ্গের বিজেপির ভাবমূর্তির ইতিবাচক দিকই প্রকাশ করতে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা জেলা থেকে রাজ্যস্তর অব্দি। জানা গেছে, আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলের মাঠে হেলিকপটার মারফত এসে পৌছাবেন তিনি। সেখান থেকে পাশের লাগদা গ্রামে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বুথ মিটিং করবেন প্রায় ৪৫ মিনিট। তারপর বিকেল ৩ টে নাগাধ পৌছাবেন শিমুলিয়ার সবুজ প্রাঙ্গনে জনসভার মঞ্চে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে প্রসঙ্গত, আজ পুরুলিয়ার জনসভায় আসা সমস্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ছোলা ও গুড় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি নেতৃত্বরা। সভাস্থলে পৌছানোর রাস্তায় মোট ১২ টি জায়গা থেকে পানীয় জলের সঙ্গে বিতরণ করা হবে ছোলা এবং গুড়। এছাড়াও জনসভায় আসা মানুষদের বসার জন্য থাকছে ৪০ হাজার চেয়ার। এছাড়াও আনা হয়েছে এলইডি স্ক্রিন, সিসিটিভি ক্যামেরা,ড্রোন ক্যামেরা। এছাড়াও অমিত শাহের গোটা যাত্রাপথে তাঁর কাট আউট সাজিয়ে তাকে স্বাগতম জানানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়া বিজেপি সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর কাছ থেকেও জানা যায় যে শাহের জনসভার সব রকম প্রস্তুতিই সারা হয়ে গেছে। আগের দিন দফায় দফায় সব চেকিংও হয়ে গেছে। আয়োজনে কোনোরকম খামতি রাখেননি তাঁরা। উপচে পড়া ভীড় আশা করছেন তিনি। উল্লেখ্য, পুরুলিয়ায় ২৪৫৪ টি বুথ থেকে গড়ে ১০০ জন করে লোক আসবে এমনটাই ধরে নিয়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা। এছাড়াও পড়শি রাজ্য থেকেও কিছু মানুষ আজকের জনসভায় হাজির হতে পারেন বলেও তাঁদের দাবী। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। তিনি আরো জানান যে, বলরামপুরে তিনজন শহীদের নামেই মঞ্চ করা হয়েছে। একটতে অমিত শাহ সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শীর্ষ নেতারা মিলে ১৫ জন মতো থাকবেন। এছাড়া অপর স্টেজে থাকবেন রাজ্য ও জেলার নেতারা। দর্শকেদের জন্য ৪০ হাজার চেয়ারের ব্যবস্থা করা হলেও লোক বেশি হলে তাঁদেরকে মাটিতে বসতে হবে। তবে এর পাশাপাশি তিনি পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগেও সরব হয়েছেন। জানান যে পুলিং চেকিং এর নামে জনসভায় আসা লোকজনদের আটকাতে পারে। আর এসব তাঁর তৃণমূলের নির্দেশেই করবে বলে তাঁর আশঙ্কা। তবে তিনি এটাও জানান যে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিজেপির তরফ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পথে নেমে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করা হবে। আর যেহেতু জাতীয় বিজেপি সভাপতি ঘটনাস্থলেই থাকবেন তাই তাঁর মাধ্যমে গোটা দেশের কাছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্পষ্ট হবে। আপতত পুরুলিয়ার রাজনৈতিকমহলে উত্তেজনা তুঙ্গে জাতীয় পদ্ম নেতৃত্বের জনসভাকে নিয়ে। তিনি আজ প্রকাশ্য মঞ্চে সহযোদ্ধাদের কী বার্তা দিতে চলেছেন সেদিকেই মুখিয়ে আছেন পুরুলিয়া তথা বঙ্গ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর আজকের পানীয় জলের সঙ্গে বিজেপির ছোলা এবং গুড় বিতরণকে অনুব্রতবাবুর গুড়-বাতাসার পাল্টা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহল। আর এই সভায় ও সভার পরে কি হতে চলেছে তার দিকেই তাকিয়ে গোটা বঙ্গ সমেত রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -