বড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে – অমিত শাহের সভা বাতিল, তবে তৃণমূলের ‘ঘুম ওড়াতে’ আসছেন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জাতীয় রাজ্য January 22, 2019 রথযাত্রার পর ফের ধাক্কা গেরুয়াশিবিরে। কৃষ্ণনগরের সভা বাতিল হল অমিত শাহের৷ রথযাত্রার অনুমতি না পাওয়ায় বিকল্প কর্মসূচি হিসাবে বাংলায় অমিত শাহকে দিয়ে পাঁচটি সভা করার পরিকল্পনা ছিল দিলীপ ঘোষেদের। কিন্তু শেষমেষ সেটা আর হচ্ছে না। মালদহ আর ঝাড়গ্রামেই শুধু সভা করবেন তিনি। কৃষ্ণনগর, সিউড়ি ও জয়নগরে আসছেন না অমিত শাহ। তাঁর পরিবর্তে সভায় আসবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। অমিত শাহ কৃষ্ণনগরে আসছেন না শুরু রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্বরা। অমিত শাহের কৃষ্ণনগরের সভাস্থলকে ঘিরে প্রথম থেকেই টানাপোড়েন ছিল বিজেপি শিবিরের। প্রতিবারের মতো এবারও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও মাঠ পায়নি বিজেপি। তাই উপায় না পেয়ে কৃষ্ণনগর থেকে ৩ কিমি দূরে সন্ধ্যা মাঠপাড়ায় সভা করার প্রস্তুতি নিয়েছিল তাঁরা। শেঅ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলাকালীন গতকাল রাতে খবর আসে অমিত শাহের সফর সূচি পরিবর্তন হয়েছে। তিনি কৃষ্ণনগরে আসছেন না। শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণেই তিনি সভায় না আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এতে বিজেপি কর্মীরা মুষড়ে পড়লেও সভা হবে বলেই জানিয়েছেন নদীয়া জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার। সভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা, মুকুল রায় প্রমুখরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে ফের শাসক বনাম বিরোধীদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। প্রথমে কৃষ্ণনগরের মাঠকেই অমিত শাহের সভার জন্য নির্বাচন করা হলেও শুধুমাত্র প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে সেখানে সভাস্থল করতে পারেনি বিজেপি। গভর্নমেন্ট কলেজ মাঠ, শক্তিনগর হাইস্কুলের মাঠ বা কারবালা মাঠ কোনও জায়গায় সভার অনুমোদন দেয়নি প্রশাসন। এমনটাই অভিযোগে জানালেন বিজেপি নদীয়া (উত্তর) জেলা সভাপতি। শেষে সন্ধ্যাপাড়ার একটি মাঠ পাওয়া গিয়েছে সভা করার জন্যে।যেহেতু পোড়াগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতটি এবার বিজেপি দখলে রয়েছে। তাই সন্ধ্যামাঠপাড়ার মাঠটি অমিত শাহের সভাস্থলের জন্য পেতে অসুবিধা হয়নি বিজেপির। এর পাশাপাশি অভিযোগের সুর চড়িয়ে তিনি আরো জানান,আসলে বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। মানুষের সমর্থন যে বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা বুঝে গিয়েছে শাসকদল। তাই বিজেপির কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটিয়ে এভাবে গেরুয়াশিবিরকে রোখার চেষ্টা করছে তাঁরা। তবে এভাবে বিজেপিকে হারানো যাবে না। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে এবারও বিজেপি জিতবে বলে গর্জে উঠে জানালেন তিনি। তবে বিজেপির আনা অভিযোগ সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন বলে দাবী করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। বললেন,’কোনও মাঠের মালিক আমাদের দল নয়। আমরা কাউকে বলিনি বিজেপিকে মাঠ দেবেন না। ওরা মাঠ না পেলে আমরা কী করব? তাছাড়া ওরা তো সন্ধ্যামাঠপাড়ায় মাঠ পেয়েছে।’ আপনার মতামত জানান -