এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > “পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি “অমিত শাহের সভা থেকে ফের বিস্ফোরক মুকুল রায়, জেনে নিন বিস্তারিত

“পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি “অমিত শাহের সভা থেকে ফের বিস্ফোরক মুকুল রায়, জেনে নিন বিস্তারিত

এদিন অমিত শাহের সভা থেকে ফের একবার তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন মুকুল রায়। জেনে নিন কি বললেন তিনি

এদিন তিনি বলেন যে,
রাজস্থান ছত্রিশগড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি হেরে গেছে কিন্তু জিতে গেছে গণতন্ত্র। ভোটে মধ্যপ্রদেশে,রাজস্থানে,ছত্রিশগড়ের ও একটা মানুষ মারা যায়নি। কিন্তু বাংলায় বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক মানুষ মারা গেছেন।

সাথেই ব্রিগেড নিয়ে মমতা ব্যানার্জীকে কটাক্ষ করে বলেন যে, মমতা ব্যানার্জি সাদা শাড়ি পড়ে সুন্দর করে সেজেগুজে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাইরে থেকে কিছু লোককে এনে বলছে ভারতবর্ষে নাকি গণতন্ত্র নেই। আমরা মায়াবতী অখিলেশকে দেখাতে চেষ্টা করেছিলাম পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রটা কোথায় ?

সাথেই এদিন তিনি বলেন যে ,একটা সার্কাস হল ,একটা নাটক হলো। যখন সার্কাস চলে আর ভিড় যখন কম হয় তখন পরের দিন সকালে মাইক নিয়ে প্রচার হয়। বলা হয় আজকে সার্কাসের চলুন আমরা সাদা বাঘ দেখাবো এটাও সেই হলো একটা সার্কাস। পশ্চিমবাংলায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গা থেকে 12 টা দল আনা হলেও তারা কিন্তু একবারো বললো না যে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন তিনি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলছি মমতা ব্যানার্জিকে জানান , পশ্চিমবাংলার বাইরে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে লড়াই করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জিততে পারবেন কিন্তু আপনি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বাইরে একটা যদি কোন একটা আসন থেকে জেতা ছাড়ুন জামানত রাখতে পারেন তাহলে আমরা বলবো মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী কর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উনি গোটা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, লালু প্রাসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করছেন এডিএমকের স্বলিনের সাথে দেখা করছেন আর তাঁরা কি করছেন তাঁরা বলছেন যে রাহুল আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কেউ কিন্তু বলছেন না যে মমতা আমাদের প্রধানমন্ত্রী ,শুধু তুমি নিজেই নিজেকে প্রচার করছ যে মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হবে।
আর তোমার কিছু তাবেদারী ভাই তাদেরকে দিয়ে বলাচ্ছে মমতা প্রধানমন্ত্রী হবে।

এর পরেই প্রশ্ন তোলেন যে, কোথা থেকে হবে? অংক কোথায়?
543 এর লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে 272টি আসন লাগবে আমি এখন এই দলে আগে মমতা দল করেছিলাম এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি গোটা বাংলা ঘুরে ঘুরে। সারা বাংলা জুড়ে বলে বেড়াচ্ছি মমতার অপকর্মের কথা।

আপনার দেখতে দেখতে 2001 থেকে 2018 হল এতগুলো বছরেআপনি 42 টার বেশি আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন না। যদি কুড়ি বছরে লাগে 42 টা আসনের পৌঁছতে তাহলে তাহলে আপনি 100 টা আসনে প্রার্থী দিতে কত বছর লাগবে ?আপনার পরিবারের কেউ থাকবে না তা করার জন্য।

আজকে আর পার্টি টা নেই, তৃণমূল কংগ্রেস নেই। মঞ্চ দেখেছেন মঞ্চ শুধু মমতা ব্যানার্জি আছে। আর কেউ নেই যে মানছেন বলবে।মমতা নিজের ছায়াটাকেও ভয় করে। আর কেউ নেই যে মঞ্চের কথা বলবে .বাংলা র মন্ত্রী বিধায়কের অবস্থা উল্টো কচ্ছপের মতো। সোজা করে যখন বলতে বলবেন তখন তারা কথা বলবে।

এর পরেই মোদীজির উন্নয়নের কথা বলেন মুকুল রায়। তিনি জানান যে, মোদিজীর নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে একটা আয়ুষ্মান প্রকল্প .এরকম আয়ুষ্মান প্রকল্প আগে কথা হয়নি। কিন্তু মমতা তা রাজ্য হতে দিচ্ছে না। কেন্দ্র সরকারের করা রাস্তা গুলো নিজের নামে চালাচ্ছে।
এদিন তিনি আরো দাবি করেন যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। আমি এখানে অনশন প্রত্যাহার করিয়ে গেছি। তাদের চাকরি নেই, অন্যায় ভাবে বরখাস্ত করা হচ্ছে, বিনা পয়সায় চাকরি হচ্ছে না, যদি এসবের সঠিক তদন্ত হয় তাহলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সময় অনেকের কোমরে দড়ি পড়বে। এদিন তিনি বলেন যে, সারোদা নারোদা চিটফান্ড নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে মমতা রাগ করছে। ইটা বিজেপি করাচ্ছে না। তদন্ত শীর্ষ আদালতের নির্দেশে হচ্ছে। মমতা বলছে টাকা টাকা সেগুলো বিজয় মালিয়ার টাকা নিয়ে পালিয়েছে। আরে সেগুলো তো আমার আপনার টাকা নয় কিন্তু সারোদা নারোদা আমার আপনার টাকা সেই নিয়ে কথা বলছে না।

এর পর তিনি বলেন যে, মমতা ব্যানার্জি বলছেন 42 টা আসন পাব যদি কুড়িটার বেশি পান তাহলে লিখে রাখুন আমি রাজনীতি থেকে দূরে চলে যাব। ২০ তার বেশি আসন তৃণমূল পাবে না। আমি মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছি রাজনীতিটা আমি মোটামুটি ভালই বুঝি। আর সেটা থেকেই বলছি তৃণমূল বেশি বাংলা থেকে ২০ তার বেশি আসন পাবে না মানুষ পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছে।

তিনি এদিন দাবি করেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস এখন কৃষি ভাইপোর দল। পিসি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আর ভাইপো ডাইরেক্টর। সেই পিসি ভাইপোর দল বাংলাতে একটা সভা ডাকে যেখানে বলা হলো 25 লাখ লোক হয়েছে কিন্তু সত্যিটা হলো কত লোক হয়নি। আমি পরের দিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে কত স্কয়ার ফিট তা হিসাব কষে সেখানে কত লোক বসতে পারে সেই হিসেব কষে বলেছি আড়াই লক্ষ লোকের বেশি এখানে বসা সম্ভব নয়। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি যদি মিথ্যে কথা বলি তবে দিদি আমাকে নোটিশ পাঠান আইনিভাবে আমরা লড়াই করব। আর এমন মিটিং আমরা সারা বাংলা জুড়ে করব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!