এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অমিত শাহ আসছেন, অথচ বিধায়কের নাম আমন্ত্রণের তালিকায় নেই- গেরুয়া শিবিরে নতুন বিতর্ক

অমিত শাহ আসছেন, অথচ বিধায়কের নাম আমন্ত্রণের তালিকায় নেই- গেরুয়া শিবিরে নতুন বিতর্ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে নজর কেড়েছে ব্যাপক আকারে রাজনৈতিক দলবদল। দলবদল নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপান-উতোর এর সাক্ষী হয়েছে রাজ্যবাসী। বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করেছেন অনেকদিনই। এতদিন পর্যন্ত বেশ ভালই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাল কাটে গতকাল। গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে বনগাঁর এই বিধায়ক এগিয়ে গিয়ে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণামও করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং। তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের এই দুই বিধায়কের আবার তৃণমূলে ফিরে যাওয়া নিয়ে।

তার মধ্যে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে অমিত শাহের রাজ্য সফরের 24 ঘন্টা আগেও বিশ্বজিৎ দাসকে কোনরকম আমন্ত্রণপত্র না পাঠানোয়। প্রশ্ন উঠেছে, এখনো পর্যন্ত বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের কাছে নিমন্ত্রণ যায়নি কেন? তবে বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এব্যাপারে শান্তনু ঠাকুরের কাছে জানতে চাওয়া হবে। আগামী 11 ই ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত মতুয়াদের শান্ত করতেই তাঁর আগমন বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা বিজেপির ঝুলি ভরিয়ে দিয়েছিল নিজেদের ভোট দিয়ে। তার বদলে ছিল নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি।

কিন্তু প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত নাগরিকত্ব নিয়ে একবিন্দু এগোতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর তাই নিয়েই চলছে বনগাঁ এলাকায় চাপানউতোর। পাশপাশি মতুয়াদের ক্ষোভও উত্তরোত্তর বাড়ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে গেরুয়া শিবির মতুয়াদের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। কারণ, বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়াদের ভোট গেরুয়া শিবিরের দিকে থাকলে তবেই বিজেপি উল্লেখযোগ্য জায়গায় পৌঁছাতে পারবে বলে দাবী রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই অবস্থায় অমিত শাহের ঠাকুরনগরে আসা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আবার বনগাঁর বিধায়ককে নিয়ে বেঁধেছে গোল। সম্প্রতি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি হয়েছেন মনস্পতি দেব। তবে সূত্রের খবর, মনস্পতি দেব সভাপতি হলেও শান্তনু ঠাকুর এবং দেবদাস মন্ডলের হাতেই দল পরিচালনার দায়িত্ব থাকছে। সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের বিপরীত লবির বিধায়ক হলেন বিশ্বজিৎ দাস। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজিৎ দাস সংশয় প্রকাশ করেছেন বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে।

মোটকথা, গোষ্ঠীদ্বন্দের হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে বনগাঁতেও। সবমিলিয়ে বনগাঁ এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে। একদিকে মতুয়া ক্ষোভ, অন্যদিকে বেসুরো বিধায়ক- দু দিক সামলাতে গেরুয়া শিবিরের প্রায় নাভিশ্বাস উঠচতে শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগামীকাল ঠাকুরনগর থেকে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে কি বার্তা দেন সেদিকে নজর রাখছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বেসুরো বিধায়ককে সামলাতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে সেটাও দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!