ফের বাংলা নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ। এদিন একটি বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেখানেই ফের বাংলা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। এদিন তৃণমূল সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, যদি মমতা ব্যানার্জীর ইচ্ছে হয় যে বিজেপি সেখানে সরকার চালাবে তাহলে ওনার ওই ইচ্ছে খুব শীঘ্রই পূরণ হবে।

প্রসঙ্গত, বার বার নানা বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে। নানা বিষয় নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। সেই নিয়েই মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন যে, তিনি নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলেছিলেন যদি মনে হয় তৃণমূল সরকার বাংলাকে ঠিকমতো চালাতে পারছে না তবে অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী বাংলার দ্বায়িত্ব নিক।

আর এই নিয়েই এইদিন মুখ খুললেন অমিত শাহ। বেসরকারি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি এইদিন বলেন যে, যদি মমতা ব্যানার্জীর ইচ্ছে হয় যে বিজেপি সেখানে সরকার চালাবে তাহলে ওনার ওই ইচ্ছে খুব শীঘ্রই পূরণ হবে। অমিত শাহ বলে, আমি সেখানে সরকার চালাতে পারব না, আমি তো একজন সাংসদ।

সাথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী ফেরা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ জানিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন ইচ্ছা করে বাংলায় কোরোনাকে ছড়িয়ে দেবার জন্যই পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সাথেই তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনকে করোনা এক্সপ্রেস নাম দিয়েছিলেন। এদিন সেই নিয়েও মুখ খোলেন অমিত শাহ।

তিনি দাবি করেন,” আমাদের বাংলার সাথে কোন শত্রুতা নেই। ১ হাজার ২০০ এর বেশি ট্রেন উত্তর প্রদেশে গেছে। ১ হাজারের বেশি ট্রেন বিহারে গেছে। আর এখনো পর্যন্ত ১০০ ট্রেনও বাংলায় যায় নি। বাঙালিরা বাড়ি ফিরতে চায়, এটাই কি তাদের দোষ? আমি জানি বাংলার জনতা এই কথা সর্বদা মনে রাখবে।”

এছাড়া এদিন তিনি বলেন, ” ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পৌঁছে কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ করে নিজের পরিবারের সাথে থাকা শুরু করেছে। রাজ্যে রাজ্যে জনজাগরণ অভিযান চালানো হচ্ছে, আসতে আসতে সবাই আমাদের কথা শুনছে।পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আমরা অনেক বন্দোবস্ত করেছি। কিন্তু যাঁদের খুঁত খোঁজা কাজ, তাঁরা খুঁত খুজবেই।”

আর এই সব নিয়ে শুরু জোর জল্পনা , অনেকেই মনে করছেন যে, বাংলায় বিজেপি ২০২১ এ লড়ার জন্য প্রস্তুত ও তৃণমূলকে উৎখাত করবেন ই সেই কথাই কি ঘুরিয়ে এদিন জানালেন অমিত শাহ। আর তার ফলে কি চাপ বাড়লো রাজ্যের শাসকশিবিরের? যদিও এই নিয়ে এখনো মুখ খোলেননি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল।