এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অমিত শাহের বক্তব্য সাতটি যুক্তিতে ভাঙলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন! জোর শোরগোল

অমিত শাহের বক্তব্য সাতটি যুক্তিতে ভাঙলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন! জোর শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও বাংলায় নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙিয়ে শাসক দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠ থেকে তৃণমূলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ককে পতাকা তুলে দিয়েছেন অমিত শাহ। যার ফলে দিনকে দিন চিন্তা বাড়ছে শাসকদলের।

আর এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুরের মাঠ থেকে অমিত শাহর তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করেছেন তা খণ্ডন করে সাত দফায় পাল্টা যুক্তি দিলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। স্বভাবতই দুই নেতার এই তরজা এখন জমিয়ে উপভোগ করছে বঙ্গবাসী। দল ভাঙানো থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় প্রকল্প, বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপির অমিত শাহ। আর এদিন সেই সমস্ত অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে দেখা গেছে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনকে।

সূত্রের খবর, এদিন দল ভাঙানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান অমিত শাহ। যেখানে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। এখন অন্যদের বিরুদ্ধে দল বভাঙানোর অভিযোগ করছেন।” আর অমিত শাহের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। পাল্টা তিনি জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে অন্য কোনো দলে যোগ দেননি। তিনি 1998 সালে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন।

এদিকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন তৃনমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি জানান, “আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালুর দুই বছর আগে বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এতে প্রচুর মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।” তবে শুধু আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নয়, কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প নিয়েও রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্পষ্ট ভাষায় তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধির 6 হাজার টাকা পাওয়া থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যার পাল্টা রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি জানান, এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রতি একর জমিতে রাজ্যের চাষিরা 5 হাজার টাকা করে পেয়েছেন। একইভাবে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর গরীব মানুষকে ঘর দিয়েছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও বা অমিত শাহের এই বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন।

তার দাবি, এক্ষেত্রে কেন্দ্র 60 শতাংশ এবং রাজ্য সরকার 40 শতাংশ খরচ করে। স্বভাবতই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। তবে শুধু প্রকল্পের কথা তুলে ধরাই নয়, বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে, এদিন সেই ব্যাপারেও তৃণমূল সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি অভিযোগ করেন, গত দেড় বছরে রাজ্যে 300 বিজেপি কর্মী সমর্থক খুন হয়েছেন। এদিকে অমিত শাহের এই বক্তব্যের যুক্তি দিতে গিয়ে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “বহু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু নিজেদের মধ্যে মারামারি কারণে হয়েছে। কেউ আত্মহত্যা করলে তাকে খুন বলে চালানো হচ্ছে। 1998 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত 1027 জন তৃনমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছেন।”

শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগেই রাজ্যে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এলে তার গাড়িতে যেভাবে হামলা হয়েছে, তার কথাও তুলে ধরেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় চাণক্য। অমিত শাহ বলেন, “বাংলায় জেপি নাআড্ডাকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি।” যার উত্তরে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “জেপি নাড্ডার জন্য জেড প্লাস নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলেও, তিনি নিয়ম ভেঙে গাড়ির সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যতদিন এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দ্বৈরথ বাড়তে শুরু করেছে।

অমিত শাহ রাজ্যে এসে তৃনমূল কংগ্রেসের সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একগুচ্ছ অভিযোগে বিদ্ধ করেছিলেন। যার পাল্টা জবাব দিয়ে সাতটি যুক্তির মধ্যে দিয়ে অমিত শাহের সেই বক্তব্য খন্ডন করার চেষ্টা করলেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর এই ঘটনাতেই কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, ততই এই ধরনের ঘটনা বাড়বে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!