এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমিত শাহ বঙ্গে পা রাখতেই ফের বিতর্কিত টুইট বিজেপি নেতার, জোর শোরগোল

অমিত শাহ বঙ্গে পা রাখতেই ফের বিতর্কিত টুইট বিজেপি নেতার, জোর শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে গতকাল পা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ দিনভর তিনি দলীয় কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই অমিত শাহ বাংলায় আসায় বঙ্গ গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহ বাংলার বিজেপি শিবিরকে অতিরিক্ত অক্সিজেনের যোগান দিলেন। কিন্তু অমিত শাহ বাংলায় থাকাকালীনই আরেক বিজেপি নেতা বিতর্কিত মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাম লক্ষণ এর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কিত টুইট করেছেন তথাগত রায়। এবং তার সাথেই তিনি জানিয়েছেন, সুর্পনখার নাককাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সুর্পনখা বলে বিজেপি নেতা তথাগত রায় কার দিকে অঙ্গুলিহেলন করলেন? রাজনৈতিক মহলের দাবি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিই তাঁর কটাক্ষের নিশানা। কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে অনেকেই মনে করছেন, সুর্পনখা হিসেবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই উদ্দেশ্য করেছেন। তবে তথাগত রায় তাঁর টুইটে নির্দিষ্ট কারোর নাম করেননি। বরাবরই বিতর্কিত মন্তব্য করে রাজনৈতিক মহলে ঝড় তোলেন তথাগত রায়। চলতি বছরের জুলাই এর শেষেও রাম মন্দির এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের আগে তিনি ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন, শ্বাসকষ্ট হলেই করোনা নয়। আর তাই নিয়েও শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা।

গতবছরের ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর তিনি বিতর্ক জাগিয়ে বলেছিলেন, যারা এই আইনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁদের সকলের উচিত উত্তর কোরিয়ায় চলে যাওয়া। আমরা সবাই জানি উত্তর কোরিয়ায় প্রবলভাবে একনায়কতন্ত্র চলে। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনায় তিনি উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছিলেন বালিগঞ্জে বিজন সেতুর ওপর আনন্দমার্গীদের পুরিয়ে মারার ঘটনাকে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেই ব্যাপার নিয়েও যথেষ্ট জলঘোলা হয় রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, তথাগত রায় মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদ থেকে অবসর নেওয়ার আগেই সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন এবং অবসর নিয়েই তিনি পা বাড়িয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বিজেপি এখনো পর্যন্ত তাঁকে দলীয় কোনো পদ দেয়নি। গত অক্টোবরেই তিনি গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে তিনি সংযোগ ছিন্ন করতে পারেন। তবে আরএসএসের অংশ হয়ে তিনি থাকবেন আজীবন। দল কবে তাঁকে ব্যবহার করবে, সেই অপেক্ষাই হয়তো এখনো পর্যন্ত করে চলেছেন তথাগত বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু বারংবার বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কিন্তু তাঁর অস্তিত্বের জানান দিচ্ছেন বলে মন্তব্য রাজনৈতিক মহলের একাংশের। বর্তমানে বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ, মুকুল, রাহুলদের নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্বের ঠেলায় রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা বিজেপি নেতৃত্বের। পরিস্থিতি সামলাতে কেন্দ্র থেকে ছুটে এসেছেন জেপি নাড্ডা।

পরোক্ষে মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রাজ্য সফরের আন্যতম উদেশ্য বঙ্গ বিজেপির এই অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানো। এই অবস্থায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা তথাগত রায়কে যদি দলীয় পদ দিয়ে বিজেপি রাজনীতির সামনের সারিতে নিয়ে আসে, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়তে হবে বিজেপিকে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে তথাগত রায়ের টুইট নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক টুইট করে বিরোধীদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি নিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়াটাও রাজনীতির একটা বড় অংশ, আর সে কাজটাই মনেপ্রাণে করে চলেছেন তথাগত রায়।

অন্যদিকে তথাগত রায়ের টুইট ঘিরে এখনো পর্যন্ত বিজেপির বিরুদ্ধে কোন দলই সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তথাগত রায় বরাবরই উৎসুক হয়ে রয়েছেন রাজ্য রাজনীতির সম্মুখভাগে আসার জন্য। আর সেক্ষেত্রে নজর কাড়ার জন্যই তিনি যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলায় রয়েছেন সেসময় এহেন বিতর্কিত টুইট করলেন। অন্যদিকে এই টুইট বার্তা দিয়ে তথাগত রায় রাজনৈতিক যুদ্ধের বার্তা দিলেন বিরোধীদের বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!